চুয়াডাঙ্গায় কনস্টেবল নিয়োগে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় কনস্টেবল নিয়োগে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে এক ইন্সপেক্টরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। কনস্টেবল নিয়োগে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার প্রাথমিক এ অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদেরকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার্স) আবুল বাশারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ক্লোজড পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
চলতি ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের এক মাস পূর্বে প্রেস ব্রিফিং করে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) ঘোষণা দিয়ে বলেন, এসএসসি পাস ও ১৮ বছরের ওপরে যাঁদের বয়স এবং যাঁরা এ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা, তারাই শুধু কনস্টেবল পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সবার সহযোগিতায় প্রার্থীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি কেউ কোনো অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। তা ছাড়া অনৈতিক সুবিধা গ্রহণে বিষয়ে কারও কাছে কোনো প্রকার তথ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে নির্দ্বিধায় তাঁকে জানানোর অনুরোধও জানান তিনি।
পুলিশ সুপারের দেওয়া ঘোষণার ভিত্তিতে এবার কনস্টেবল পদে অন্যান্যবারের চেয়েও চাকরিপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ২২ জুন কনস্টেবল পদের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার গতকাল রোববার ছিল লিখিত পরীক্ষা। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যেই অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের তথ্য পান পুলিশ সুপার। ওই তথ্যের ভিত্তিতে একজন ইন্সপেক্টরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্লোজড করেন তিনি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বলে জানান পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)।