নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী লক্ষীপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলেনাসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযান শুরু করে এবং রাত ১০টার দিকে হ্যান্ডক্যাপসহ আসামি আনারুলকে আটক করে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী লক্ষীপুর গ্রামের আনারুল এক বছর আগে শিউলি আক্তার লাকি নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় লাকি জানত না যে আনারুলের ইতিপূর্বে আরও চারটি বিয়ে হয়েছে, তাঁর দুটি সন্তানও আছে। তা ছাড়া আনারুল একজন মাদক ব্যবসায়ী। লাকির সঙ্গে বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য লাকিকে চাপ ও নির্যাতন শুরু করেন আনারুল। এ ঘটনায় লাকি বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় আনারুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হেলেনা ফোর্স নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় গোয়ালবাড়ী লক্ষীপুর গ্রামে আসামি আনারুলকে আটকের জন্য আসেন। আনরুল ওই সময় গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে হ্যান্ডক্যাপ পরালে চায়ের দোকানে বসে থাকা আনারুলের সহযোগিরা পুলিশের ওপর হামলা ও ইট নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় হ্যান্ডক্যাপসহ আসামি আনারুল পালিয়ে যান। এ হামলার ঘটনায় এসআই হেলেনাসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং এলাকায় অভিযান শুরু করেন। অভিযানের একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে হ্যান্ডক্যাপসহ আসামি আনরুলকে আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মূল আসামি আনারুলকে আটক করা হয়েছে।