দিনাজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক, জাপার-১, জামায়াতের-১ ও বিএনপি’র-৪
এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে আসন্ন ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক, জাপার-১, জামায়াতের-১ ও বিএনপি’র-৪ প্রার্থী স্বস্ব দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে কেন্দ্রে তদবীর ও মাঠে গনসংযোগ চালাচ্ছে।
জাতীয় সংসদের-৬ দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ও আ’লীগের জন্য লোভনীয় আসন হিসাবে সুপরিচিত। স্বাধীনতার পর হতে ১বার জাতীয় পাটি ও ১বার জামায়াত ছাড়া বেশীরভাগ সময়ে এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে ছিলো। ৬১৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ৩৩৮টি গ্রামের ৩৪০টি মৌজার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১,৮১,০৪৬ জন পুরুষ ও ১,৬৮,৬৩৮ জন মহিলা সহ মোট ৩,৪৯,৬৮৪ জন ভোটার রয়েছে।
আ’লীগ প্রার্থী- মনোরঞ্জন শীল গোপাল ঃ এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের জেলা সহ সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল আসন্য ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি জাগপা হয়ে জাপা-র সাথে নির্বাচন করে শক্ত অবস্থান তৈরী করে জাপা হয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। পরপর ৩ বার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে তিনি রাতদিন মাঠে কাজ করে ভোটারদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যৌথ সভায় তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতকর্মীদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ, পলাশবাড়ী ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের নাম বাতিল করে এসএম গোপাল মহাবিদ্যালয় নাম করন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জামাত-বিএনপি’র নেতাকর্মীকে নিয়োগ এর অভিযোগ উঠে।
আ’লীগ প্রার্থী- আলহাজ্ব মোঃ জাকারিয়া জাকা ঃ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা ছাত্রজীবন হতেই আ’লীগের সংঙ্গে যুক্ত। দলের দূ-দিনের বন্ধু সচ্ছ রাজর্নীতিবিদ ও দলের জন্য নিবেদিত প্রান, সৎ ব্যাক্তি হিসাবে দিনাজপুর-১ আসনের সর্বত্রই তার সুনাম রয়েছে। আসন্য ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনিও।
আ’লীগ প্রার্থী- মোঃ আমিনুল ইসলাম ঃ ১৯৯১ সালে আ’লীগ হতে নির্বাচিত সাবেক এমপি মোঃ আমিনুল ইসলাম ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আ’লীগের দলীয় প্রাথী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম আব্দুর রৌফ চৌধুরীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বহিরাগত হঠাও আন্দলনের নেতৃত্ব দিয়ে আ’লীগকে হারায়। তারপর বিএনপির আমলে মন্ত্রী প্রয়াতো খুরশিদ জাহান হক এর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করে এলডিপি, বিকল্প ধারা হয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগে যোগদান করে গত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে ১১নং মরিচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যৌথ প্রতিবাদ সভায় তার বিরুদ্ধে এহনো অভিযোগ উঠে। আসন্য ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আ’লীগ প্রার্থী- আবু হুসেইন বিপু ঃ ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আবু হুসেইন বিপু। তিনি দীঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনিতির পাশাপাশি দিনাজপুর-১ আসনে মানুষের পাশে থাকার কারনে এলাকায় সু পরিচিত মুখ। জাতীয় সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারনে গ্রামগঞ্জের ভোটাদের ও তরুনদের কাছে আস্থাভাজন।
জাপা’র প্রার্থী- মোঃ শাহিনুর ইসলাম ঃ এ আসনে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পাটির দলীয় প্রার্থী হিসাবে মাঠে কাজ করছেন বীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারন সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহিনুর ইসলাম। জাতীয় যুব সংহতির উপজেলা সভাপতির দাইত্ব পালন কালে ২০০৪ সালে জাপার ক্রান্তিকালে ভোটের মাধ্যমে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধী জাতীয় পাটিকে সু সংগঠিত করার কাজ করে যাচ্ছে। গত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জাপার দলীয় প্রার্থীর প্রতিক নিয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতির কারনে নির্বাচন করতে পারেনী। আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পাটির দলীয় প্রার্থী হিসাবে তারই নাম মাঠে ময়দানে রয়েছে।
জামায়াত প্রার্থী- মাওঃ মোঃ হানিফ ঃ সাবেক এমপি মরহুম অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল কাফীর মৃত্যুর পর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বীরগঞ্জ শাখার ২৫ বছরের উপজেলা আমীর ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মাওঃ মোহাম্মদ হানিফ দলকে সুযোগ্য স্থানে পৌচে দেওয়ায় আসন্য ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর দলীয় প্রার্থী। তিনি জামায়াত-বিএনপি’র ৪ দলীয় জোট প্রার্থী হিসাবে গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে আ’লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তবে আগামীতেও জামায়াত-বিএনপি’র ৪ দলীয় জোট থাকলে তার বিকল্প নেই। প্রতিক হিসাবে সতন্ত্র অথবা ধানের শীষ নিয়ে ভোট করতে পারেন।
বিএনপি প্রার্থী- মোঃ মামুনুর রশিদ ঃ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে লবিং চালাচ্ছেন কাহারোল উপজেলার চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ। তিনি ১৯৮৫ সালে ছাত্রদলে যোগদানের পর ১৯৮৭ সালে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধী বিএনপির রাজনিতির সক্রিয় কর্মি।
বিএনপি প্রার্থী- রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু ঃ বিএনপি’র জেলা সদস্য বিশিষ্ঠ ব্যবস্যায়ী ও ঠিকাদার সাবেক ভিপি রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী হতে লবিং চালাচ্ছেন। প্রতিনিয়োত তিনি নেতা, কর্মি ও ভোটারদের সংঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও সখ্যতা বজায় রেখেছেন।
বিএনপি প্রার্থী- মন্জুরুল ইসলাম মন্জু ঃ এছাড়াও ২০০৮ সালে ঢাকার বাসিন্দা বিশিষ্ঠ ব্যবস্যায়ী মোঃ মন্জুরুল ইসলাম মন্জু হঠাৎ করে আবিভাব হয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হয়। তিনি বেশির ভাগ সময়ে দেশের ও নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থান করেন। মাঝে মধ্যে এসে ভুরিভোজ, দান-অনুদান ও শীতবস্ত্র বিতরন করেন। আগামী নির্বাচনে তিনিও বিএনপি’র প্রার্থী বলে জানাজায়।