নিউজ ডেস্ক:
সাভারের আশুলিয়ার চৌরাবালি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণ করা চার জঙ্গির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- রাশেদুন্নবী, মোজাম্মেল হক ওরফে মাসুদ, ইরফানুল ইসলাম ও আলমগীর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি উনু গং আসামিদের আদালতে হাজির করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, অনেক দিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। শনিবার রাতে ওই আস্তানা ঘিরে ফেলা হয়। অভিযান শুরুর পরপরই ভেতরে থাকা জঙ্গিরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
আবেদনে আরো বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ডে ভিলেজ লাইনের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সঙ্গে এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরা সবাই সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এদিকে আশুলিয়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে আদালতকে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। আসামিদের কিছু বলার আছে কি না, তা জানতে চান আদালত। তাদের কিছু বলার নেই বলে তারা আদালতকে জানান। এরপর আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ১টার দিকে র্যাব-৪ এর একটি দল আশুলিয়ার চৌরাবালি এলাকায় ইব্রাহীম নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে র্যাব। রোববার সকালে র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে। সকাল ৯টার পর র্যাবের একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) ওই বাড়ির কাছাকাছি যায় এবং আকাশে একটি হেলিকপ্টার টহল দিতে থাকে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টার অভিযানে ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে একে একে বেড়িয়ে এসে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে চার জঙ্গি। টিনশেড বাড়িটিতে চারজনই ছিলেন বলে আত্মসমর্পণকারীরা র্যাবকে জানান। তারা সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য বলে দাবি করেছে র্যাব।