নিউজ ডেস্ক: আলমডাঙ্গা:আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে কাকলী খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর গায়ে আগুন লেগে দেহের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে। ল্যাম্প থেকে অবসাধানবশত আগুন লেগে গেছে বলে ওই গৃহবধূ জানালেও গ্রামে গুঞ্জন উঠেছে তার শ^শুর আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আহত গৃহবধূকে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আজিত আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন ৬ বছর আগে একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কাকলী খাতুনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে। বর্তমানে ৫ বছরের একটা সন্তান রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় কাকলী খাতুনের শরীরে আগুন লেগে বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হারদী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, রোগীর দুই হাত বুক ও পিঠে আগুন লেগে পুড়ে গেছে। তার দেহের ১২ ভাগ পুড়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতলে রেফার্ড করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে আহত গৃহবধূ কাকলী খাতুন জানান, সন্ধ্যায় সে ল্যাম্প নিয়ে যাওয়ার সময় ল্যাম্পে তার গায়ের ওড়নায় আগুন লেগে সেখান এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, গ্রামে গুঞ্জন উঠেছে বিয়ের পর থেকেই কাকলী খাতুনকে তার শ^শুর শাশুড়ি নানাভাবে নির্যাতন করতো। কাকলীর পিতা আবুল কাশেম মারা যাওয়ার পর তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। সোমবার তার শাশুড়ির সাথে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে তার শ^শুর আজিত আলী পুত্রবধু কাকলী খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় কাকলী খাতুন ও তার মা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।