শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডধারী দরিদ্র নারীদের ১৩০ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযােগ উঠেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের চাল সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে চাল উত্তোলন করা হয়ে থাকলেও কার্ডধারী নারীরা ওই চাল পাননি বলে অভিযােগ উঠেছে। প্রায় এক বছর আগের ওই চাল কেন কার্ডধারী দরিদ্র নারীদের দেয়া হয়নি তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে ভিজিডি কার্ডগুলাে নিজ নিজ হাতে রাখার নিয়ম থাকলেও কার্ডগুলাে নারীদের হাতে দেয়া হয় না । সেগুলাে ইউনিয়ন পরিষদের এক মহিলা মেম্বারের কাছে জমা করে রাখা হয়েছে।
অভিযােগসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন এলাকার ১০৬ জন দুস্থ নারীর নামে ভিজিডির কার্ড আছে। প্রতি মাসে এই কার্ডধারী নারীরা ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন । এদের নামে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে কার্ডগুলাে বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব নারী দুই বছর ধরে প্রতিজন ৩০ কেজির এক বস্তা করে চাল পেয়ে থাকেন। কিন্তু ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১০৬ বস্তা চালের কোনাে হদিস মিলছে না। ওই মাসে ভিজিডি কার্ডধারী কোনাে নারী চাল পাননি।
অভিযােগ উঠেছে চাল তুলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রােকন অনিয়মের আত্মসাৎ করেছেন। যার যার ভিজিডি কার্ড তার তার হাতে না রেখে চেয়ারম্যান ওইসব কার্ড একজন মহিলা মেম্বারের তত্ত্বাবধানে রেখে দিয়েছেন বলেও অভিযােগকারীরা জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন সেপ্টেম্বর মাসের চাল প্রদানের ব্যবস্থা করবে বলে দুস্থ নারীরা আশা করেন।
এ ব্যাপারে জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রােকন বলেছেন , ভিজিডি কার্ডধারীরা দুই বছর ধরে প্রতিজন মাসে এক বস্তা করে চাল পাবেন । যে মাসের চাল দেয়া হয়নি পরবর্তীতে তা ভজিয়ে দেয়া হবে । # #