ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামসহ আহত-৩
নিউজ ডেস্ক: আলমডাঙ্গায় ২য় তলা বাড়িসহ অর্পিত সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে কালিদাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরুসহ তিনজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পুরাতন অগ্রণী ব্যাংক খ্যাত ২য় তলা বিল্ডিংসহ কয়েক কোটি টাকার অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কালিদাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু ও আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আক্তার জোয়ার্দ্দার লীজ সূত্রে ওই বিল্ডিংয়ের দখল নিয়ে বেশ কয়েক বছর বসবাস করে আসছে। একপর্যায়ে ওই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা করেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু। মামলা চলমান অবস্থায় গত ইউপি নির্বাচনে আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সাথে নুরুল ইসলামের মৌখিকভাবে সমঝোতা হয়। এমন তথ্য সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এর কয়েক বছর পর আবার কয়েক কোটি টাকার অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নুরুল ইসলম ওই বাড়ি দখল নিতে গেলে বাদে বিপত্তি। আক্তার গ্রুপের দা’য়ের কোপে মারাত্বকভাবে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, তার ভাগ্নে হোসেন ও ওসমান। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত নুরুল ইসলামের ছেলে জানান, ওই সম্পত্তি নিয়ে সরকারের সাথে নুরুল ইসলামের মামলা চলছিল। মামলায় নুরুল ইসলামের পক্ষে রায় হয়। কিন্তু ওই সম্পত্তি লীজ নিয়ে আক্তার জোয়ার্দ্দার বসবাস করে আসছে। আজ সকাল ৯টার দিকে নুরু ইসলাম লোকজন নিয়ে আক্তার জোয়ার্দ্দারকে রায় দেখানোর জন্য যায়। পরে চলে আসার সময় আক্তার ও তার দলবলরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমন করে মারাত্বকভাবে আহত করে।
অন্যদিকে আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার জানান, ১০-১৫ জন লোক নিয়ে সকালে হঠাৎ করে তার বাড়ি আক্রমণ করে নুরুল ইসলাম ও তার দলের লোকেরা বাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। বাড়ির আরেক অংশে বসবাসকারী তার আত্মীয়ের পরিবারকে মারধর করে জোর করে বাড়ির বাহির করে দেয়। সে সময় হয়তো ধ্বস্তাধ্বস্তিতে তারা আহত হতে পারে।