নিউজ ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে গত শুক্রবার ট্রাভেল পাস করাতে আসেন পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি। দুপুর ২টার সময় হাইকমিশন ঘেষা প্রবাসী রেস্টুরেন্টের মেঝেতে পড়ে ছটফট করে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। অথচ তখন তার আশপাশে থাকা অর্ধশতাধিক মানুষ সে দৃশ্য দেখেও সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি।
মৃত্যুর পরে জানানো হয় স্থানীয় পুলিশকে। পুলিশ আসার পর তার সাথে থাকা জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড থেকে প্রথমে জানা যায় তার নাম আনু মিয়া, বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফে। তবে কিছুক্ষণ পরই মৃত আনু মিয়ার পরিচয় নিয়ে তৈরি হয় নতুন জটিলতা। তার অন্য এক পকেটে ইউএন (ইউনাইটেড ন্যাশন) কার্ডও পাওয়া যায়, যা তাকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করে।
অপরদিকে তার ভোটার আইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন বলছে তিনি বাংলাদেশি। টেকনাফে তার বাড়ি। এখন অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় থাকা আনু মিয়াকে নিয়ে বিভ্রান্তিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাংলাদেশি নিশ্চিত না হলে তাকে দেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম। এ নিয়ে তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া প্রবাসী হামিদ বিন মোহাম্মদ আলি বলছেন, হয়তো আনু মিয়া বৈধতার সুবিধা নিতে ইউএন কার্ড নিয়েছেন। তবে তার দেশ বাংলাদেশ এ কারণেই তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনে ট্র্যাভেল পারমিট নিতে এসেছিল। হয়তো পরিবারকেও জানিয়েছেন তিনি ফিরছেন। ঠিকই ফিরছেন তিনি, তবে জীবিত নয় লাশ হয়ে। জীবিত অবস্থায় ট্রাভেল পাশ নিয়ে দ্রুতই দেশে যেতে পারতেন হয়তো আনু মিয়া।
কিন্তু লাশ হয়ে পড়লেন ঠিকানার বিড়ম্বনায়। শেষপর্যন্ত কোথায় পাঠানো হবে মৃত আনু মিয়ার লাশ? মিয়ানমার নাকি বাংলাদেশে? সে প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মনে।