অভিযুক্ত সেন্টু পুলিশের খাচাঁয় : তবুও আতঙ্ক!

0
12

চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ান অহিদুলকে মারধরের ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ান অহিদুলকে মারধরের ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অহিদুলের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন বাদি হয়ে মামলাটি করেন। এদিকে, ঘটনার রাতেই অভিযান চালিয়ে সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত সেন্টুকে (৪২) আটক করে। আকটকৃত সেন্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মৃত মান্দার আলীর ছেলে। অভিযুক্ত সেন্টু আটক হলেও এ ধরণের ঘটনা কী আবার ঘটবে এই আতঙ্কে আছে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। কারণ স্বেচ্ছাসেবক রাজ্জাক ভেবে ভুল করে টেকনিশিয়ানকে তুলে নিয়ে মারধর করেছে। এবার যদি ওই স্বেচ্ছাসেবককে তুলে নিয়ে যায়। হাসপাতাল পট্টি থেকে আতঙ্ক কাটছেই না। পুলিশের নজরদারি ও তৎপরতা বাড়াতে অনুরোধ করেছেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক রাজ্জাক ভেবে ভুল করে টেকনিশিয়ান অহিদুলকে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে মারধর করে অভিযুক্ত সেন্টুসহ তার দলবল। পরে অভিযুক্ত সেন্টু পুলিশের কাছে আট হয়ে জানায় তারা ভুল করে রাজ্জাক ভেবে ভুল করে টেকনিশিয়ান অহিদুলকে মারধর করেছে। এ ঘটনা জানার পরপরই হাসপাতালের ওই স্বেচ্ছাসেবক রাজ্জাক গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাছাড়া স্বেচ্ছাসেবক রাজ্জাক এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কখন বুঝি তাকে আবার কেউ তুলে নিয়ে টেকনিশিয়ান অহিদুলের মত মারধর করে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ইসিজি টেকনিশিয়ান অহিদুলকে সবার সামনে থেকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে অভিযুক্ত সেন্টুসহ তার দলবল। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা বলেন, এইভাবে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যদি হাসপাতালের কর্মিদের মারধর করে, তবে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়।