জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৫৪ টি সমবায় সমিতি যেন লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। শুধু কাগজ কলমে ঠিক করেই প্রতি বছর সরকারী অনুদানের লাখ লাখ টাকা লুটে নিচ্ছে সমিতিগুলো। অভিযোগ রয়েছে ফিফটি পার্সেন্ট কমিশনের বিনিময়ে রাষ্ট্রিয় অর্থ লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বাবুল হোসেন। এতে গ্রামের দরিদ্র জনগোস্টিকে সংগঠিত করে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম তরাণ্বিত করার মতো সরকারের মহতি উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সমবায় অফিস সুত্র জানায়, উৎকোচ না পাওয়ায় সমবায় কর্মকর্তা বাবুল হোসেন যোগদানের পর সমিতির সংখ্যা প্রায় ২০৪ টি থেকে কয়েকমাসের কয়েকগুণ কমে ৫৪ টিতে দাড়িয়েছে। কিন্তু এ গুলোর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই নামসর্বস্ব। এসব প্রতিষ্ঠানের কোন অফিস নেই, ঠিকানাও ভুয়া। সমবায় অফিসের ট্রেনিংসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই এদের দেখা মেলে। আর সমবায় অধিদফতরের অনুদানসহ সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বিভিন্ন কাজের বিবরণ দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতই এদের প্রধান লক্ষ্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা সমবায় অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময়ে ছিন্নমুল জনোগোষ্ঠির জন্যে আসা সরকারি অনুদান দেন পছন্দনীয় সমিতিকে।
তবে সবগুলো অনুদানের ক্ষেত্রেই সমবায় কর্মকর্তার অনুমোদন বাধ্যতামুলক। আর এই সুযোগেই নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুদানের টাকা পাইয়ে দেয়ার শর্তে ৫০ ভাগ কমিশন নিয়ে নেন সমবায় কর্মকর্তা। তবে এর একটি অংশ স্থানীয় মাস্তানদের পকেটেও যায়। ফলে সমবায় অফিসের কোন কর্মকর্তায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করে না। এছাড়া সমবায় নীতিমালায় সমিতির সদস্য নন এমন ব্যক্তিকে ঋণদানে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। অন্তত ৫০ টি এনজিও সমবায়ের নামে মাইক্রোক্রেডিটের মতো কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এ ছাড়া ২ বছরের অধিক সময় একই জায়গায় চাকুরীর সুবাদে দূর্নীতির আখড়া গেড়ে বসাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি! দূর্নীতি গ্রস্থ এ সমবায় কর্মকর্তাকে শৈলকুপা থেকে অপসারণ করা সরকারের নিকট এমনটায় প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। এ ছাড়া তিনি চেয়ার বসে ধুমপান করেন। এতে বদ্ধ ঘরে অধুমপায়ীরা কাজ করতে এসে বিপাকে পড়েন। এ ব্যাপারে সমবায় কর্মকর্তা বাবুল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিসে চা পানের দাওয়াত দিয়ে বলেন, অফিসে আসুন আথিতিয়তা গ্রহন করুন। তারপর সব বলবো।