নিউজ ডেস্ক:
শরীর ফিট রাখতে অধিকাংশ মানুষ এখন সাতসকালে ওয়ার্ক আউট শুরু করেন। সপ্তাহের মাঝে একটা ব্রেক দিলেই হয়। কিন্তু এই মেয়ে তো ব্যায়াম ছাড়া কিছু জানে না! দিনে ৮ ঘন্টা করে প্রতিদিন এক্সারসাইজ করা চাই-ই চাই।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোর ৩১ বছরের এরিনের সারা জীবন ধরে একটাই নেশা, ওয়ার্ক আউট সেশনে নিজেক ফিট রাখা। চিকিৎসকদের মতে, এটি একধরণের ম্যানিয়া বলা যেতে পারে। খুব ভালো করে বোঝাতে গেলে বলা যায়, ড্রাগের নেশার মতোই এরিনের এক্সারসাইজ এডিকশন রয়েছে। প্রতিদিন সে গড়ে ৮ ঘন্টা করে ব্যায়াম ও যোগা করেন। মাত্র ২-৩ ঘন্টা রাতে ঘুমান।
একটি জনপ্রিয় টিভি শোয়ে তিনি জানিয়েছেন, অত্যাধিক এক্সারসাইজ তাঁকে কখনও ক্লান্ত করে না, বিরক্ত করে না। এক্সারসাইজের জন্য সে ডেটিং প্ল্যান, অ্যাপয়ন্টমেন্ট ছেড়ে দিতে রাজি। তাঁর জীবনটাই কন্ট্রোল করে তাঁর ব্যায়ামের নেশা। ব্যায়াম করতে যেমন তাঁর বিরক্ত লাগে না, তেমনি সারাদিন ধরে ব্যায়াম করতে বললে, তাই করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে তাঁর মন খুব ভালো থাকে নাকি!
সাধারণত এলিপটিক্যাল, স্পাইন ও জিমে ওয়েট ট্রেনিং করেন তিনি। তবে এই মেয়ের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে অবাক হলেও, অতীত জীবন শুনলে চমকে যাবেন আপনি। ছোটবেলা থেকেই এরিনের খাবারের প্রতি অনীহা। কিন্তু সেই অনীহা কাটানোর জন্য জন্য অনেকে ডাক্তার-বদ্যি দেখানো হলেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি। নিজের রোগ সারাতে মাঠে নেমে পড়েন স্বয়ং এরিনই। কিন্তু সেই মাঠে নেমে পড়াটাই কাল হল। দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধিক ব্যায়াম ও জিমে প্রতি নেশার জন্য এরিনের শরীরে শুরু হয়েছে নানান জটিলতা। সাদা রক্তকোষের সংখ্যা শরীরে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। লাল রক্তকোষে দেখা গিয়েছে অস্বাভাবিকতা। চিকিৎসকদের কথায়, এর ফলে এরিনের হার্ট আয়তনে বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ব্লাডপ্রেশার একদম বিপদসীমার নীচে রয়েছে। কিন্তু এরিনের কথায়, ওয়ার্ক আউট না করলে সে আরও বেশি অসুস্থ বোধ করেন! কোনও কিছুই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে করা ভালো নয়। শরীরের বাড়তি ক্যালরি ঝরাতে ওয়ার্ক আউট করা অবশ্যই করা দরকার। এমন কিছু করবেন না, যা হিতে বিপরীত হয়ে না যায়। চিকিৎসকদের পারমর্শ নিয়েই তবে ওয়ার্ক আউট ও ডায়েটের সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করুন। আমরা বলছি না, বিশেষজ্ঞের মতামত এটি।
সূত্র: এই সময়।