নিউজ ডেস্ক:
ঘরে ৯ মাসের দুধের শিশু। তাকে বাড়িতে ফেলে রেখেই দিব্যি বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে বেরিয়ে গেলেন মা।
কয়েক ঘণ্টা নয়, সাতদিনের জন্য। বাড়িতে তালাবন্দি অবস্থায় থেকে অনাহারে শেষ পর্যন্ত মারা গেল ছোট্ট ইগর। রাশিয়ার রোস্টভের এই ঘটনায় ভিক্টোরিয়া কুজেনেৎস্তোভাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে ১০ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশের কাছে ভিক্টোরিয়া স্বীকার করেছে সন্তানকে দেখভালের মোটেই ইচ্ছে ছিল না তার। এর জন্য বন্ধুদের সঙ্গে তিনি বেরিয়ে পড়তেন। ভিক্টোরিয়ার স্বামী সেনাবাহিনীতে কর্মরত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ১৭ বছরের এই বধূর সঙ্গে স্বামীর তেমন বনিবনা ছিল না। তার রেশ গিয়ে পড়ে সন্তানের উপর।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ ইগর জন্ম নেওয়ার পর থেকে নিজের সন্তানকে সেভাবে দেখাশোনা করতেন না ভিক্টোরিয়া। গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে নিজের ছেলেকে ঘরে আটকা রেখে আচমকা বেরিয়ে যায় ওই বধূ। উপলক্ষ, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, খানা-পিনায় মত্ত থাকা। ঘরে নিজের সন্তান মায়ের জন্য কেঁদে মরছে সেদিকে তার হুঁশ ছিল না। এমনকী এতবড় অপরাধ করার পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় সে জানিয়ে যায় সবকিছু ঠিক আছে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভিক্টোরিয়া এবং তার সন্তান ইগরের খোঁজ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছে ৯ মাসের শিশুপুত্র। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ইগরকে বাঁচানো যায়নি। প্রতিবেশীদের বক্তব্য নিজের সন্তান মারা যাওয়ার পরও ভিক্টোরিয়ার মধ্যে তেমন হেলদোল দেখতে পাননি। এমনকী মৃতদেহ গায়েব করে দিতে চেয়েছিল সে।
এলাকার বাসিন্দারা গোটা ঘটনা পুলিশকে জানান। আপাতত কারাগারে রয়েছে ভিক্টোরিয়া। সেখানে তাকে দশ বছর কাটাতে হবে। তবে পুলিশকে সে জানায়, প্রথম থেকেই সে সন্তান নিতে চায়নি। এমনকী ইগরের যখন এক মাস বয়স তখন তাকে হোমে দিতে গিয়েছিল ভিক্টোরিয়া। সেখান থেকে তেমন সাড়া না পাওয়ায় এভাবেই অবহেলা, অনাদরে ফেলে ছেলের মৃত্যুর পথ প্রশস্ত করেছিল রাশিয়ার এই বধূ।