৭ খুন হত্যা মামলায় তারেক সাঈদ ও নূর হোসেন সহ ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল !

0
28

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জনের মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বাকি ১১ ফাঁসির আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিং ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, মামলার শুনানি শেষে গত ২৬ জুলাই রায় ঘোষণার জন্য গত ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিল আদালত। পরে ওইদিন আদালত রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ২২ আগস্ট আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের ওপর রায়ের দিন ধার্য করেন।

গত ২২ মে ৭ খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা, এমদাদুল হক (হাবিলদার), বেলাল হোসেন, আবু তৈয়ব, শিহাব উদ্দিন, এসআই সুনেন্দু বালা, পূর্ণেন্দু বালা, আসাদুজ্জামানূর, মূর্তজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান বিপু, আবুল বাশার ও রহমত আলীসহ ২০ আসামি হাইকোর্টে নিয়মিত আপিল ও জেল আপিল করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে র‌্যাবের সাবেক ১৬ কর্মকর্তা-সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তাঁর নয় সহযোগীসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া মামলার আরও ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।