রত্নচোর হিসেবে তিনি প্রণম্যা, একথা স্বীকার করেন অপরাধ জগতের তাবড় টাইকুন থেকে শুরু করে মিডিয়া ব্যারনরাও। চুরি করা শুরু করেছিলেন ২০ বছর বয়সে। তার পরে কেটে গিয়েছে সাড়ে ছয় দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু, ডরিস পেন একটুও বিচ্যুত হননি তাঁর ‘নেশা’ থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি রীতিমতো সেলিব্রিটি। রত্নচোর হিসেবে তিনি প্রণম্যা, একথা স্বীকার করেন অপরাধ জগতের তাবড় টাইকুন থেকে শুরু করে মিডিয়া ব্যারনরাও।
২০১৩ সালে ডরিসকে নিয়ে তোলা হয় একটি তথ্যচিত্রও। ‘দ্য লাইফ অ্যান্ড ক্রাইমস অফ ডরিস পেন’ নামের সেই ছবি কিন্তু যথেষ্ট আদর কেড়েছিল সমালোচক-দর্শকদের। বার বার গয়না বা রত্ন চুরির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৯৫২ সালে প্রথম তাঁকে নিয়ে হইচই শুরু হয়। সাক্ষাৎকারে ডরিস কিন্তু বেজায় সাবলীল। তথ্যচিত্রেই তিনি জানিয়েছেন, কোনো দিনই তিনি ‘চুরি করতে’ বের হননি। কিন্তু কোথা থেকে কী যে হয়ে যায়!১৯৭০-এর দশকে বাণিজ্য সংস্থা জুয়েলার্স সিকিউরিটি অ্যালায়েন্স ডরিসের বিষয়ে বিশেষ বুলেটিন বের করে। তঁকে ঘিরে তৈরি হতে থাকে নাগরিক কিংবদন্তি।
সম্প্রতি ভন মাউর-এর এক বিপণিতে শপ লিফ্টিংয়ের অভিযোগে ধরা পড়লেন ৮৬ বছরের ডরিস। সারা জীবন গন্ডার মেরেছেন, ভাণ্ডার লুঠেছেন। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এক সামান্য ছিঁচকে শব লিফ্টিং! নিজের কাজের জন্য সারা জীবন লজ্জাহীন থাকা ডরিস কি এই মুহূর্তে লজ্জা পাচ্ছেন?