৫ টি চেয়ার মেরামতে ব্যায় ৬২ হাজার; ভুয়া ভাউচার আর ভুতুরে বিল উত্তোলন

0
11
 ৫ টি চেয়ার মেরামতে ব্যায় ৬২ হাজার; ভুয়া ভাউচার আর ভুতুরে বিল উত্তোলন

সাকিব আল হাসান:

চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউট যেনো অনিয়ম-আর দূর্নীতির পাহাড়। একাই দূর্নীতির সাম্রাজ্য চালাচ্ছেন ইন্সট্রাক্টর ফরিদা ইয়াসমিন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাংবাদিকদের তৎপরতায় ভয়াবহ সব অনিয়মের উঠে এসেছে। মাত্র ৫ টি চেয়ারের মেরামত খরচ হিসেবে দেখানো হয়েছে ৬২ হাজার ২০০ টাকা। এর পাশাপাশি কয়েকটি টেবিল,বেঞ্চ আর খাট মেরামতে খরচ হিসেবে দেখানো হয়েছে আরও ৫৮ হাজার ১১৯ টাকা। এছাড়াও মাত্র কয়েকটি আসবাবপত্র মেরামত বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩১৯ টাকা। খরচের এই অস্বাভাবিক ব্যায়ের হিসাব জানাননির পর অত্র ইনিস্টিউটের শিক্ষার্থীরাও অবাক হয়েছে।

তবে এই সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম এখানেই শেষ না। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেনের সরকারি একাউন্টে না করে ইন্সট্রাক্টর ফরিদা ইয়াসমিন ব্যাক্তিগত একাউন্টে লেনদেন করে।
সরকারি খরচের চেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে সেই অর্থ আদায়ের টাকাও লেনদেন করে নিজের ব্যাক্তিগত একাউন্টে।

গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে গিয়ে এসব অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার শিক্ষার্থীরা। এসময় আর্থিক অনিয়ম,ভুয়া ভাউচার,ক্রয় ও মেরামত বাবদ ভুতুড়ে বিল উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম খুঁজে বের করে তারা।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ২০২৩-২৪ সেশনে ভর্তি হওয়া ৭৫ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২-৪ হাজার টাকা আদায় করে নার্সিং ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।

পরে খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.বিদ্যুৎ কুমার রায়।

নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ ফরিদা ইয়াসমিনের অনিয়ম,দূর্নীতি,সেচ্ছাচারিতা সরকারি নিয়ম তোয়াক্কা না করার এসব অভিযোগ বেশ পুরোনো। এর আগেও স্থানীয় বেশ কিছু দৈনিক তার দূর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে।