নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘৪৫ বছর পর কেন আবার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হচ্ছে? এটা আমার বোধগম্য নয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও করা হয়েছিল। তবে আবার কেন এটা করা হচ্ছে? মুক্তিযোদ্ধা কারা, তাদের নাম ঠিকানা নতুন করে আবার কেন লেখা হচ্ছে?
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব গতকাল শনিবার সংসদের সমাপনী দিবসে ২৫ শে মার্চকে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক কে এটা নিয়ে অনেকে এখনও বিতর্ক করেন। স্বাধীনতার ঘোষক কে এটা কিন্তু ঠিক করতে হবে। পুরো জাতিকে এটা জানিয়ে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাটা কে দিয়েছেন? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন। এটা নিয়ে কেন বার বার বিতর্ক হবে? আমি বলবো, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটা সবাই মিলে লেখেন।
বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল উল্লেখ করে রওশন বলেন, এজন্য আমার জীবন ধন্য হয়েছে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ রাতে বাঙালিদেরকে মেধাশুন্য করার প্রস্তুতি ছিল পাকিস্তানের। এজন্য সেদিন ইউনিভার্সিটির টিচার, স্টুডেন্ট, বিডিআর, পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল। বাঙালিকে মেধা শূন্য করাই তাদের উদ্দেশে ছিল। কিন্তু তারা জানে না বাঙালিকে মেধা শূন্য করা যায় না। বাঙালি আজ যা চিন্তা করে বিশ্ব তা চিন্তা করে পরে।