নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের ৬৪ জেলার ৭৮টি এলাকায় ৩৩ হাজার ৮৪৯ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল রবিবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মামুনুর রশীদ কিরণের (নেয়াখালী-৩) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলার ৭৮টি পল্লীবিদ্যুৎ পরিসেবার আওতায় এসব সংযোগ দেওয়া হবে।
চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু লোডশেডিং হচ্ছে :
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে কিছু লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়া বৈরি আবহাওয়া ও বিতরণ লাইনে মেরামত কাজের জন্যও কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুত বিভ্রাটের সৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশে জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার উষ্ণতা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এতে বিদ্যুতের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে :
সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল আ. ফ. ম বাহউদ্দিন (নাছিম) (মাদারীপুর-৩) ও কামাল আহমেদ মজুমদারের (ঢাকা-১৫) প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রায় ৮ হাজার ৫শ’ থেকে ৯ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট। দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মোট ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে আরও ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পরমাণু শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম স¤প্রসারণের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
বছরে গ্যাসের ঘাটতি ৩ লাখ ১০ হাজার ২৫০ ঘনফুট :
সরকারি দলের সদস্য আলী আজমের (ভোলা-২) প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বার্ষিক চাহিদা ১৩ লাখ ১৪ হাজার এমএমসিএফ এবং উৎপাদন ক্ষমতা ১০ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ এমএমসিএফ। অর্থাৎ বছরে গ্যাসের উৎপাদন ঘাটতি ৩ লাখ ১০ হাজার ২৫০ ঘনফুট।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতি হাজার ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন খরচ ২৫৬ দশমিক ৪০ টাকা। প্রতি হাজার ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের বিক্রয় মূল্য ২১৬ দশমিক ৩৪ টাকা।