নিউজ ডেস্ক:
ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৬ দিনে ৬১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। মাস শেষে তা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে প্রবাসী আয়ে মন্দা কিছুটা কমে যাবে।
যদিও কয়েক মাস যাবৎ প্রবাসী আয় ১০০ কোটি ডলারের আশপাশে ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের পরই প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে অবৈধ পথে আনার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপের পর প্রবাসী আয় বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথ্যে জানা যায়, চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ১২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার আয় এসেছে। এরপরই অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার।
২০১৩ সাল থেকে প্রবাসী আয় কমছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেও প্রবাসী আয়ে নিম্নমুখী ধারা চলছে। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আসে ৭১৭ কোটি ডলার। যদিও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এ সময়ে এসেছিল ৮৬৩ কোটি ডলার। এ হিসেবে প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
প্রবাসীদের পাঠানো আয় সব সময় ১০০ কোটি ডলারের বেশি থাকলেও গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তা নিচে নেমে আসে। নভেম্বরে আসে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ডিসেম্বরে আসে ৯৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
তথ্যমতে, ২০১৬ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার পাঠান। যদিও ২০১৫ সালে এসেছিল ১ হাজার ৫৩২ কোটি ডলার। সে হিসেবে গত বছরে প্রবাসী আয় কমে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর আগে ২০১৩ সালেও ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল।
প্রবাসী আয়ের নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয় ২০১৩ সালে। আগের বছরগুলোতে প্রবৃদ্ধি ঘটলেও সে বছরে প্রবাসী আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়। ওই বছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ডলার পাঠান, যা ২০১২ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম ছিল। ২০১৪ সালে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হরে প্রবাসী আয় আসে ১ হাজার ৪৯২ কোটি ডলার। এরপর ২০১৫ সালেও প্রবাসী আয়ে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ব্যাংকিং চ্যানেল ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দামের পার্থক্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকার বেশি। বেশি টাকার আশায় অনেকেই অবৈধ পথকে বেছে নিচ্ছেন। কয়েকটি দেশ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এর পুরোটাই অবৈধ পথে দেশে আসছে।
কর্মকর্তারা বলেন, এরই মধ্যে গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোয় ২৫ দোকানকে জরিমানা করেছে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগ। এসব দোকান ‘বিকাশ’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে কম খরচে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সুযোগ দিয়েছিল।