নিউজ ডেস্ক:
সুন্দরভাবে কথা বলা একটা শিল্প। অনেককে দেখি সম্পদ বলতে কিছু নেই। কিন্তু সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে। মানুষ তাকে ভালোবাসে। ইসলাম সুন্দর করে এবং মার্জিত ভাষায় কথা বলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, অপরের হক ভালোভাবে আদায় করতে অপারগ হলে অন্তত হাসিমুখে মধুর ভাষায় উত্তম কথা দিয়ে তাকে খুশি রাখ।
ইমাম গাজ্জালী (র.) বলেছেন, বাক্যালাপ মানুষের জন্য আয়নার মতো কেন না, যখন মানুষ কথা বলতে শুরু করে তার মধ্যকার সুপ্ত বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, যারা রসনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নয়, ধ্বংস তাদের সব সময় হাতছানি দিতে থাকে। তিনি আরও বলেছেন, ভাষা শিক্ষায় মানবজাতির কল্যাণ রয়েছে। ইসলাম তো শুধু আরবদের জন্যই নাজিল হয়নি। রাসূল করিম (স.) বলেছেন, জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন বাক্য মমিনের হারানো সম্পদ।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আপনি আপনার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দিয়ে আহ্বান করুন, আপনি এমন এক পদ্ধতিতে যুক্তিতর্ক করুন যা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট (সূরা নাহল আয়াত ১২৫)। এমনও অনেকে আছেন যারা ধর্মের পথে ডাকেন অথবা ভালোকথাই বলেন, কিন্তু মনে হয় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু সবারই মনে রাখা দরকার জোরে কতা বলার চেয়ে আস্তে এবং সুন্দর করে বলা কথা মানুষের মনে দাগ কাটে, মনে থাকে বেশি।
ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় হজরত মুহাম্মদ (স.)কে বনিসাদ গোত্রে মা হালিমার ঘরে পাঠানোর একটা বড় যুক্তি ছিল। রাসূল যেন সুন্দরভাবে ভাষা শিক্ষা করে আসেন। কারণ বনিসাদের ভাষা তখন খুব শুদ্ধ এবং সুন্দর ছিল। আরও জানা যায়, পবিত্র কোরআন শরিফ খুব সহি এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষায় নাজিল হয়। তখন আরবে সাতটি আরবি ভাষার প্রচলিত রূপ ছিল। এর মধ্যে যে কুরাইশ গোত্রের ভাষাই পাণ্ডিত্যপূর্ণ, সাবলীল এবং মাধুর্য ছিল। তাই এ ভাষায়ই নাজিল হয় পবিত্র কোরআন। এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, সুন্দর এবং মাধুর্যপূর্ণ ভাষায় কথা বলা আল্লাহ এবং তার রাসূলের নির্দেশ।