নিউজ ডেস্ক:
হকার উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনসংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে জাতীয় সম্মিলিত হকার্স জোট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, হকার উচ্ছেদ নয়, পুনর্বাসনের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন হকারদের পুনর্বাসন করতে। কিন্তু কোনো রকম পুনর্বাসন না করে এ ধরনের উচ্ছেদ তারা মানেন না। আজ থেকে ফুটপাতে যে যেখানে ব্যবসা করেছেন সেখানে গিয়ে ব্যবসা করবেন।
তারা বলেন, নগরের বেশির ভাগ মানুষ হকারদের ক্রেতা। তাদের অধিকাংশ অফিসে আসা-যাওয়ার পথেই কেনাকাটা করেন। ফলে হকার উচ্ছেদ হলেই শুধু হকাররাই নিঃস্ব হবে না বরং তার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। ফলে রাজধানী অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। হকারদের পুনর্বাসনের যথাযথ ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ফুটপাতের এক-চতুর্থাংশে হকারদের বসতে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
ভারতের লোকসভার হকার্স আইন-২০১৪-এর কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশেও হকারদের জন্য হকার আইন করে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর রুটি-রুজির সমস্যার সমাধান করার দাবি জানান তারা।
এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে হকারদের বিক্ষোভ চলতে থাকায় জিরো পয়েন্ট, পল্টন থেকে হাইকোর্ট মোড়, মৎস্য ভবন মোড় হয়ে শাহবাগ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু-জাসদ) সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, জাসদের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, হকার নেতা আব্দুল হাশেম কবির, সেকেন্দার হায়াৎ, মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, শফিকুর রহমান বাবুল, হযরত আলী, মঞ্জুর মঈন, দুলাল মিয়া, আব্দুস শহীদ, আহম্মদ আলী, মো. হানিফ, গোলাপ, আজিজুল ইসলাম আব্দুল হাশেম কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গত ১১ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন হকার্স ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৫ জানুয়ারির পর থেকে দিনের বেলায় ফুটপাতে হকারদের বসতে দেওয়া যাবে না। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে তারা বসতে পারবে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ জানুয়ারি থেকে ফুটপাতে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিএসসিসি।