নিউজ ডেস্ক:
অবৈধভাবে বসবাসরতদের নিজ দেশে ফিরতে সৌদি আরব সরকারের বেধে সময়সীমা সোমবার শেষ হয়েছে। ফলে দেশটিতে এখনও অবস্থানরত অবৈধ বিদেশি শ্রমিক বা বিদেশিদের আটক করে শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধদের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আর বাড়াবে না বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের পাসপোর্ট বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সোলায়মান আল ইয়াহিয়া বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় আল মদিনা পত্রিকাকে বলেন, যারা আবাসিক ও শ্রম আইন লঙ্ঘন করে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন তাদেরকে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা সোমবার শেষ হয়েছে।
যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেননি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সোলায়মান আল ইয়াহিয়া বলেন, তাদের ধরে শাস্তি দেওয়া হবে। তারা আইনের প্রতি কোনো সম্মান দেখায় না। স্বেচ্ছায় সৌদি আরব ছাড়া ও পরে যেকোনো সময় বৈধভাবে আবার সৌদি আরবে আসার জন্য সুযোগ রাখা হয়েছিল তাদের জন্য। এটা ছিল তাদের বড় সুযোগ।
তিনি জানান, এরই মধ্যে এ সুযোগ নিয়ে মোট ৬ লাখেরও বেশি অবৈধ শ্রমিক বা বিদেশি সৌদি আরব ছেড়েছেন। পরে তাদের মধ্য থেকে আবার নতুন কাজের ভিসা নিয়ে বৈধভাবে সৌদি আরবে ফিরে এসেছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখা হয়নি। ফলে সহজেই তারা বৈধভাবে আবার প্রবেশ করতে পারবেন সৌদি আরবে।
তিনি জানান, যারা সাধারণ ক্ষমার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও সৌদি আরবে অবস্থান করবেন তাদেরকে জরিমানা করা হবে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে সরকারের ১৯টি বিভাগ।
সম্প্রতি সৌদি গেজেটের এক খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশে ফিরতে রাজি হয়েছেন।