আলমডাঙ্গায় শিক্ষকের কন্যার সাথে অনার্স পড়–য়া ছাত্রের প্রেম
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার ডাউকী বশিরা মালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার কন্যার প্রেমিক সোহেলকে (২২) লোকজন দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার সোহেল কুষ্টিয়ায় পরীক্ষা দিতে গেলে ওই শিক্ষকের ছেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সোমবার বশিরা মালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামবাসী স্কুল থেকে ওই শিক্ষককে অপসারণ ও তার ছেলের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ডাউকী বশিরা মালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পাঁচলিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের কন্যা শীলা খাতুনের সাথে ডাউকী গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কয়েক বছর এ সম্পর্ক চলার একপর্যায়ে গত একবছর আগে অন্যস্থানে শীলার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরপরই শীলা তার প্রেমিক সোহেলকে নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রামের দরিদ্র ঘরের ছেলের সাথে চলে যাওয়ায় শিক্ষক চরম মানহানিকর অবস্থায় পড়ে। গ্রামের লোকজন কৌশলে ১ মাস পর তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। পরে গ্রামবাসী সালিশ সভার মাধ্যমে মেয়েকে তার পিতার হাতে তুলে দেন। এর প্রায় একবছর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে অনার্স পরীক্ষা দিয়ে হল থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষক আব্দুল মান্নানের ছেলে এনামুল বেশ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সোহেলকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। মারাত্মক আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে হারদী হাসপাতালে মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ডাউকী বসিরা মালিক মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণ ও তার ছেলের বিচারের দাবিতে গতকাল সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামবাসীরা মানববন্ধন করেছে।