নিউজ ডেস্ক:
আলুকদিয়া কানাপুকুর এলাকায় গভীর রাতে পুলিশ-চরমপন্থী বন্দুকযুদ্ধ : পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির (লাল পতাকা)
বিশেষ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ত্রাস ও নিষিদ্ধঘোষিত চরমúন্থী দল পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির (লাল পতাকা) সদস্য কুখ্যাত সন্ত্রাসী কেতু (৩৫) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধার করে। গতকাল রাত ২টার দিকে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত কেতু পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির (লাল পতাকা) আরিফ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড ও সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের শওকতের ছেলে। নিহত কেতু ৩টি হত্যা, ২টি চাঁদাবাজি মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী। পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কেতু নিহত হওয়ায় অত্র এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব জানান, একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী কুখ্যাত চরমপন্থী কেতুকে গত সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়। সেখান থেকে তাকে চুয়াডাঙ্গায় সদর থানায় আনা হয়। মঙ্গলবার সারাদিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তার হেফাজতে রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাকে নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বের হয়। পুলিশের দলটি কেতুকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া কানাপুকুর এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা ১৫/১৬ জনের একদল অস্ত্রধারী পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় কেতু পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কেতুকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি এলজি সাটারগান, ২ রাউন্ড বন্ধুকের গুলি ও ৬ টি বোমা এবং ৬টি চাপাতি উদ্ধার করেছে ।
নিহত কেতুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, কেতু পুলিশের তালিকাভুক্ত পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির (লাল পতাকা) আরিফ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
নিতহ কেতুর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আকুন্দবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর জাকারিয়া সাধু হত্যাকান্ডসহ ৩টি হত্যা ও ২টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।