নিউজ ডেস্ক:
বাবার পরিণতিই হল ছেলের। মাঝখানে ব্যবধান দুই বছর। দুই বছর আগে শিকারির গুলিতে যেখানে প্রাণ হারিয়েছিল বাবা সিসিল, সেই উত্তর-পশ্চিম জিম্বাবুয়ের হাওয়ালে ন্যাশনাল পার্কের বাইরে, সেই একই জায়গায়, মাত্র কয়েক হাতের দূরত্বে অসহায় আত্মসমর্পণ করল জান্ডা! করুণ মৃত্যু মিলিয়ে দিল বাবা-ছেলেকে।
অবিকল বাবার মতোই দেখতে হয়েছিল জান্ডা। পার্ক কর্তৃপক্ষের হিসেবে, বয়স হয়েছিল ছ-বছর। গায়ে লাগানো ইলেক্ট্রনিক ট্যাগ দেখেই ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ সিসিলের ছেলেকে শনাক্ত করে।
হাওয়ালে পার্কের ‘ম্যাজেস্টিক’ সিসিলকে শিকার করতে মার্কিন ‘ট্রফি-হান্টার’ ওয়াল্টার পামারকে গুনতে হয়েছিল ৪৫ হাজার পাউন্ড। ঝাঁকরা কেশরের বছর বারোর বিশালকার সিসিলকে চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়নি মার্কিন শিকারিকে। তা ছাড়া, হাওয়ালে পার্কের মূল আকর্ষণই ছিল সিংহ সিসিল।
সিসিল শিকারের পর খুব স্বস্তিতে ছিলেন না ওয়াল্টার। চারদিক থেকে খুনের হুমকি আসতে থাকায় একটা সময় পর্যন্ত আত্মগোপন করে থাকতে হয়েছিল মার্কিন এই ডেন্টিস্টকে।
গত বছরই পার্ক কর্তৃপক্ষ সিসিলের সাত সন্তানের ছবি দেখিয়েছিল। পাঁচ কন্যা, দুই পুত্র। সেই দুই পুত্রের একজনের প্রাণ গেছে আরসি সাফারির বিগ গেম হান্টার রিচার্ড কুকের হাতে। ওই পার্কে সিসিলদের নিয়ে কাজ করা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষেক দল জান্ডার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।