নিউজ ডেস্ক:
বিশাল আকারের হাতি রাজার হালে হেঁটে চলছে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক ধরে। সামনে বাস-ট্রাক-অটোরিকশা এমনকি বরের গাড়ির সামনে গিয়েও দাঁড়াচ্ছে হাতিটি। টাকা না দিলে রাস্তা ছাড়ছেনা কোনভাবেই। গাড়িতে অবস্থানরত যাত্রীরা ভিত হয়ে টাকা দিতে বাধ্য হন।
একজন মোটরসাইকেল আরোহী প্রথমে ৫ টাকা দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে হাতিটি, পরিমাণ বাড়িয়ে ১০টাকা দিলে সেটা গ্রহণ করে রাস্তা ছেড়ে দেয়।
ইদানিং সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। যেমন ক’দিন আগে হাতিটি এ প্রতিবেদকের গাড়ি’র সামনে এসে অবস্থান নেয়।
সাংবাদিক পরিচয়ে হাতিটির মাহুতকে ‘এটা চাঁদাবাজি নয় কি?’ প্রশ্ন করলে কোন উত্তর না দিয়ে হাতিকে সরিয়ে নেয়। হাতিটির নাম, মাহুতের নাম জানতে চাইলে কোন কথা সে বলতে রাজি হলোনা।
এব্যপারে গাড়ি চালক দুলাল আহমেদ বলেন, দিন দিন এদের উতপাত বাড়ছেই। এদের এখনই আটকানো না গেলে আগামীতে চলাচল করতে অসুবিধা হবে।
স্থানীয় পথচারীরা জানান প্রায় নিয়মিতই চলছে এদের অঘোষিত চাঁদাবাজি। কেউ টাকা না দিয়ে যেতে পারছেন না। সার্কাসের হাতি লোকালয়ে চাঁদাবাজি করলে বিষয়টা দিনদিন খারাপের দিকে যাবে। এই সন্ত্রাস বন্ধে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।