মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে
হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের গাড়িসহ ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে নিখোঁজের স্বজন ও এলাকাবাসী।
রোমান শেখ (১৬) নামের এক নিখোঁজ যুবকের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধনের পর আজ বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ যুবক রোমানের সন্ধানের দাবিতে সিরাজদিখান থানা সংলগ্ন বাজার এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে নিখোঁজের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে মানববন্ধন শেষে থানায় হামলা করে থানার বিভিন্ন কক্ষের সরঞ্জাম ও সহকারী পুলিশ সুপারের জানালার থাই গ্লাস ভাঙচুর করে।
এছাড়া থানার মাঠে থাকা পুলিশের গাড়িসহ ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা।
পরে মুন্সিগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাদিখান সার্কেল) ইমরান খান বিক্ষুব্ধদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষুব্ধরা থানা প্রাঙ্গণ থেকে চলে যায়।
গত ২১ জানুয়ারি রোমান নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে বেলা ১টার দিকে বাড়ি ফেরে। পরে বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয় এবং এরপর থেকে সে নিখোঁজ। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও রোমান এবং তার অটোরিকশাটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের করেন নিখোঁজের বাবা মিরাজ শেখ।
মুন্সিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. ফিরেজ কবির বলেন, ‘গত ২৬ জানুয়ারির রোমান শেখের নিখোঁজের ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করি এবং রোমানের ব্যবহৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করি। বাকি তথ্যের জন্য এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য আমরা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর রিমান্ডের আবেদন করি। সেই রিমান্ড হেয়ারিং এখন পেইন্ডিং রয়েছে। এরই মধ্যে নিখোঁজ রোমানের সহপাঠীসহ অন্যান্যরা কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে থানার সামনে মানববন্ধন করতে এসে, হয়তো কারও উসকানিতে থানায় এসে হামলা করে এবং ভাঙচুর করে।
এই বিষয়ে সিরাজদিখান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বলেন আজকে আমাদের কোন কর্মসূচি ছিল না।