নিউজ ডেস্ক:
ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের মাত্র ছ’মাস পরে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন। কিন্তু সেই স্বামীই যখন ‘সারপ্রাইজ’ দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তখন আর সেকথা ফেলতে পারেননি বছর বাইশের তরুণী। আর সেই বিশ্বাসই কাল হল। পার্কে গিয়ে স্বামীর হাতেই খুন হতে হল ওই তরুণীকে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মনোজের সঙ্গে গুরগাঁওয়ের একটি বারে আলাপ হয় কোমল নামে ওই তরুণীর। ২০১৫ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু সেই বিয়ের সুখের হয়নি। ছোটখাটো বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি লেগেই থাকত। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায়, যে বিয়ের মাত্র ছ’মাসের মধ্যে বাপের বাড়ি চলে আসেন কোমল।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে কোমলের সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায় মনোজ। কোমলকে বলে, তাঁকে ‘সারপ্রাইজ’ দিতে চায় সে। সম্পর্কে তিক্ততা থাকলেও, মনোজের কথা বিশ্বাস করে কোমল। এরপরই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া বোন্টা পার্কে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মনোজ। খুনের পর ফোন করে এক বন্ধুকে গোটা ঘটনার কথা জানায় সে।
মনোজের বন্ধুর কাছ থেকে খবর পেয়ে, রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় ১২ ঘন্টা তল্লাশির পর, বোন্টা পার্ক থেকে উদ্ধার হয় কোমলের নিথর দেহ। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার যতীন নারওয়াল জানিয়েছেন, মনোজ এতটাই মদ্যপ ছিল, যে ঠিকমতো বলতেই পারছিল না, পার্কের কোন জায়গায় স্ত্রীর মৃতদেহটি ফেলে দিয়েছে সে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীকে সন্দেহ করত মনোজ। তাঁর ধারণা ছিল, কোমলের সঙ্গে অন্য কোনও পুরুষের বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক আছে। তাই অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে কথা বললেও, স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করত মনোজ। বেশ কয়েকবার কোমলকে বাপের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করে সে। কিন্তু কোমল রাজি না হওয়ায়, তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করে মনোজ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন