নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদীন কোম্পানি থেকে ২৫ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে সরকার।
এ জন্য মোট ব্যয় হবে ৬৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয়প্রস্তাব বুধবার সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়াও সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ঋণপত্র স্থাপনের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে সার জাহাজীকরণের সুবিধার্থে সরবরাহযোগ্য মোট নয়টি লটের ২ লাখ ২৫ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তাবিত ২৫ হাজার টন সার আমদানির ছাড়া অবশিষ্ট ২ লাখ টন সার নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমদানির লক্ষ্যে লটভিত্তিক মূল্য ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে গেলেও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরিবর্তে বিশেষ বিবেচনায় কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুমোদনের ক্ষমতা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে বিসিসিআই কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানিতে শিল্প মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গত বছরের ২০ জুলাইয়ের বৈঠকে বেলারুশ থেকে এমপিও সার আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরূপ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ফসল উৎপাদনে ফসফেট সার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। দেশের কৃষি উৎপাদনে ডিএপি সারের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিএডিসির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ডিপিএ সার আমদানি হচ্ছে। চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ডিপিএ সারের বাৎসরিক চাহিদা ৭ লাখ ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে বিএডিসি মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ২৫ হাজার টন ডিপিএ সার আমদানি করবে। তা ছাড়া বিসিআইসির প্রায় ১ লাখ টন সার উৎপাদন করার কথা রয়েছে। চাহিদার অবশিষ্ট ডিপিএ সার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হবে। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সার আমদানি করা অপেক্ষকৃত সহজ এবং সময় ও ব্যয়সাশ্রয়ী বিধায় চুক্তির ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী ফসল উৎপাদন মৌসুমে ব্যবহারের জন্য আগে স্বাক্ষরিত চুক্তির অনরূপ একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।
সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবের মা’আদীন কোম্পানিকে চলতি বছরের ২৭-৩১ জানুয়ারি অনুযায়ী লে-ক্যান নির্ধারণ করে প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম লটের ২৫ হাজার টন ডিএপি সারের প্রাইস অফার পাঠায়। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী সারের আন্তর্জাতিক বাজার দরসংক্রান্ত দুটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ফার্টিলাইজার মার্কেট বুলেটিন ও ফার্টিকন এ প্রকাশিত এফওবি দরের গড় দর থেকে তিন ডলার বিয়োগ করে আমদানিতব্য সারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি বুলেটিন দুটিতে প্রকাশিত গড় দর ছিল ৩২৯ দশমিক ২৫ ডলার। এ থেকে তিন ডলার ছাড় দিয়ে প্রতি টন সারের দাম নির্ধারণ করা হয় ৩২৬ দশমিক ২৫ ডলার। সে হিসেবে প্রস্তাবিত ২৫ হাজার ডিএপি সারের দাম পড়বে ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৪ কোটি ৭৬ হাজার টাকা।