গাংনীতে অনুমোদন ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা, দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকায়
নিউজ ডেস্ক:অনুমোদন ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা ও দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকায় মেহেরপুরের গাংনী সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুখময় সরকার এ আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাংনী সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান বিজয় ও হাফিজুর রহমান অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নেই। তা ছাড়া রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া রক্ত ও কফের নমুনা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। যা বাংলাদেশ মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ৮ ও ৯ ধারার পরিপন্থী। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা। আইন অনুযায়ী ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটিতে পৃথক দুটি তালা লাগিয়ে দেয় প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, কয়েক মাস আগে গাংনী সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক ডেঙ্গু রোগীর ভুল রিপোর্ট প্রদান করার বিষয়টি ধরিয়ে দেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. খোকন রেজা। এ ঘটনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বিজয় ও তাঁর লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. মো. খোকন রেজার ওপর হামলা ও তাঁর অফিস ভাঙচুর করেন। এরপর সরকারি কর্মচারীর ওপর হামলার প্রতিবাদ, বিজয়কে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সে সময় মেহেরপুর সিভিল সার্জন শামীম আরা নাজনীন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গাংনী সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ ঘোষণা করে বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেন। ডা. খোকন রেজার ওপর হামলার ঘটনায় বিজয়ের নামে একটি মামলা হলে বিজয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিনে মুক্তি পেয়ে বিজয় আবার তাঁর ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা অব্যাহত রাখেন।