নিউজ ডেস্ক:
মাসখানেক আগে ভারতের লাটুর জেলার এক অনাথ আশ্রম থেকে মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন সানি লিওন। সেই ছোট্ট নিশা মা সানি এবং বাবা ড্যানিয়েল ওয়েবারের স্নেহে বেড়ে উঠছে।
তারাও খব সম্ভবত এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সুখী বাবা-মা। খবর এবিপি আনন্দ’র।
মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে দারুণ লাগে অভিনেত্রীর। তবে বড় হয়ে যাতে মেয়ে অন্য কারও থেকে দত্তক নেয়ার বিষয়টি শুনে আঘাত না পায়, তাই সত্যিটা সানিই নিশাকে বলে দেবেন বলে জানিয়েছেন। সানির কথায়, এ বিষয়ে কোনও লুকোচুরি নেই। সত্যিটা নিশাকে বলে দেওয়া হবে।
তবে শুধু মেয়েকে সত্যি নয়, নিজেদের জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত বহু কথাই সানি খোলাখুলি বলে দিয়েছেন। কেন তারা একটি মেয়েকেই দত্তক নেয়ার কথা ভেবেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সানি বলেন, বহুদিন ধরেই ড্যানিয়েলের বাবার অভিযোগ ছিল, তাদের পরিবারে কোনও কন্যা সন্তান নেই।
এদিকে, মুম্বাই শহরতলির এক অনাথ আশ্রমে মাঝেমধ্যেই যেতেন সানি এবং তার স্বামী।
সেখানে গিয়ে এই তারকা দম্পতি দেখেছিলেন, সেখানকার লোকজনরা অনাথ শিশুদের যথেষ্ট যত্ন করেন। প্রত্যেককে সঠিক পরিমাণের আহার, পড়াশোনা, জামা-কাপড়, সবকিছু দেওয়া হয়।
একদিন সেখানে গিয়েই সানির আচমকা মনে হয়, সেখান থেকে কোনও বাচ্চাকে দত্তক নিলে কেমন হয়। স্বামীর কাছে নিজের মনের কথা জানিয়েও ছিলেন সানি। ড্যানিয়েলও সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেন একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেবেন তারা।
দত্তক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সানি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে সানি দত্তক সংক্রান্ত ফর্ম ফিলাপ করার পরই, তাদের অনাথ আশ্রমের সমস্ত শিশুকন্যার ছবি দেখানো হয়। নিশার ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে সানির মনে হয়, এই তার বাচ্চা। তারপরই শুরু হয় আসল প্রক্রিয়া। পাঁচ থেকে ছয়মাস লাগে নিশাকে তাদের বাড়িতে আনতে। সেই সময়টা তাদের মাঝেমধ্যেই খুব অস্থির লাগত, মনে হত তারা নিশাকে হয়তো নিজেদের কাছে আনতে পারবেন না।
নিশার কেমন লেগেছিল প্রথম তাদের সংস্পর্শে এসে। সানি জানান, আগে ক্যামেরার সামনে কখনও আসেইনি নিশা। কিন্তু যেদিন থেকে দত্তক প্রক্রিয়া শুরু হল, সেদিন থেকে তারা ক্যামেরায় নিশার প্রতিটি মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে রেখেছেন। একটি বই রাখা হয়েছে, যেখানে নিশার সমস্ত কথা লেখা আছে। ছোট্ট নিশা বড় হলে, সানি তাকে সবটাই জানাবেন এবং দেখাবেন।
এমনকি একথাও বলবেন, তার জন্মদাত্রী মা তাকে ফেলে দেয়নি, বরং নয় মাস গর্ভেধারণ করেছে। তারপর দত্তক নেওয়ার পর তিনি নিশার মা হয়েছেন। তাদের দু’জনের সম্পর্ক আত্মার, সেকথাই নিশাকে বলবেন সানি।