নিউজ ডেস্ক:
‘সাবধান থাকুন-সতর্ক থাকুন। দ্রুত নিরাপদ জায়গাতে আশ্রয় নিন।
‘ আধো-ঘুম চোখে এই আপদকালীন অ্যালার্ম কানে যাওয়ার পরেই রীতিমত হুলুস্থুল অবস্থা হয় জাপান জুড়ে। ঘর থেকে বেরিয়ে যে যেখানে পারে নিরাপদ জায়গা পাওয়ার আশায় ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। জাপান জুড়ে সকালে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। একদিকে শহরের মানুষের নিরাপদ জায়গাতে যাওয়ার জন্যে ছোটাছুটি অন্যদিকে জাপানের সেনাবাহিনীর তৎপরতা।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি যাওয়ার কথা ছিল জাপানের উত্তরাংশ দিয়ে। ফলে ওই এলাকায় সতর্কতার জন্য সাইরেন বাজানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের আকাশ দিয়ে গর্জন করতে করতে দুই মিনিট পর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। মাইকে ঘোষণার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে মোবাইলে লিখিত মেসেজ দেওয়া হয়- “ক্ষেপণাস্ত্র পার হচ্ছে”।
আরেকটি মেসেজে বলা হয়- “কিছুক্ষণ আগে এই এলাকা দিয়ে দৃশ্যত একটি ক্ষেপণাস্ত্র পার হয়েছে। আপনি যদি কোনো সন্দেহজনক কিছু দেখেন তাহলে তার কাছে না গিয়ে বরং দ্রুত পুলিশ অথবা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিন। দয়া করে নিরাপদ ভবনে অথবা আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থান নিন। ”
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়া আজ মঙ্গলবার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, যা জাপানের আকাশসীমা দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল এবং অন্তত ২,৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাপক উত্তেজনা চলছে তবে আজকের এই ঘটনার পর জাপানের জনগণ সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।