আর্থিক ও সংসদ সচিবালয়ের পুরনো সিদ্ধান্তের শতাধিক ফাইল গায়েব হয়ে গেছে। এসব ফাইলের বেশিরভাগই আর্থিক বিষয়ক। গায়েব হওয়া ফাইলগুলোর মধ্যে শতাধিকের মধ্যে কোটি টাকার হিসাব রয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের টাকার বিনিময়ে ফাইল গায়েবের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা অফিসে নিয়মিত আসছেন না এবং বাইরে থেকে কর্মচারীদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েব করছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্পিকারের দপ্তর, সংসদ সচিবের দপ্তর এবং কমিটি শাখার অনেক ফাইল রাতারাতি গায়েব হয়ে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অন্তত ১০টি ফাইল গায়েব হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, বর্তমান সরকারের হাতে এসব ফাইল না পৌঁছানোর জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি কমিটির বেশিরভাগই কোনো মিটিং করেনি, অথচ মিটিংয়ের নামে অর্থ বরাদ্দ এবং হাজিরার টাকা দেয়া হয়েছে। এ ধরনের বেশ কিছু ফাইল গায়েব হয়েছে বলে জানা গেছে।