স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষতি সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তফসিল ঘোষনার মাধ্যমে ত্রিবেনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তারিখ আগামী ১৩ মে ঘোষনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ খান। এ নির্বাচন স্থগিত রাখতে রিটার্নিং কর্মকতার কাছে দেয়া একাধিক লিখিত দরখাস্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ত্রিবেনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক খানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্যের লড়াই চলে আসছে। গেল উপজেলা নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে গাছের ডাল অপসারনকে কেন্দ্র করে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডকে পুজি করে এক গ্রুপ আধিপত্য বিস্তার ও হামলা লুটপাটে সফল হতে না পেরে নতুন পথ খুঁজছে। সূত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে ত্রিবেনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে উভয় গ্রুপের কর্মী সমর্থকদের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সাথে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারের ¯œায়ুযুদ্ধ তো আছেই। ইউনিয়নকে উত্তপ্ত করতে ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এক গ্রুপ প্রতিশোধ পরায়ন ভূমিকা নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির কর্ণধারদের সাথে নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সংঘর্ষ ও পুনরায় হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ইউনিয়নকে অশান্ত করতে তারা কলকাটি নাড়ছে বলে অপর গ্রুপের অভিযোগ। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ রাখতে শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ইস্যূ করে সংঘর্ষসহ বড় ধরনের ঝামেলা হতে পারে বলে তাদের আশংকা। এ নির্বাচনকে ঘিরে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষসহ আবারো হত্যাকান্ডের মত বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এমন তথ্য আছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে ত্রিবেনী গ্রামের অনেক অভিভাবক স্কুলটিকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে নির্বাচন সাময়িক ২স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বলে জানা গেছে। ত্রিবেনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ইস্যূ করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই তারা নির্বাচন সাময়িক স্থগিত রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনি জানান, লিখিত দরখাস্তগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে। দ্রতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।