ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে শুরু হওয়া জুনিয়র সার্টিফিকেট স্কুল পরিক্ষার মডেল টেস্ট ২০১৭ এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আবাইপুর রামসুন্দর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১১টায় সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা যায় প্রথম দিনের ন্যায় আজও নির্বিঘেœ পরিক্ষা শুরু হয়েছে অথচ শিক্ষক সমিতির আওতাভুক্ত ৩৫টি স্কুলে অভিন্ন এক প্রশ্নে নিয়মিত দুপুর ১টায় পরিক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি জানান, প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দুপুর ১টার পরিবর্তে সকাল ১১টায় পরিক্ষা নিচ্ছে এমন অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের প্রশ্নপত্রের ধরন ভিন্নতর থাকলেও একই সময় একযোগে জেএসসি পরিক্ষা স্কুলের ক্লাস ছুটির পর দুপুর ১টায় গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে উপজেলা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে গ্রহণ করা অভিন্ন প্রশ্নে পরিক্ষা নিচ্ছেন অন্তত ৩৫টি স্কুল। আবাইপুর রামসুন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও সমিতির প্রশ্নপত্র গ্রহণ করেছেন।
প্রশ্নপত্র সমন্বয়কারী কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম জানান, সকল নিয়মনীতি মেনেই প্রশ্ন প্রনয়ন ও বন্টন করা হয়েছে এবং একযোগে সবার পরিক্ষা গ্রহণ করার কথা রয়েছে। তবে কি কারনে আবাইপুর রাম সুন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান সকাল ১১টায় পরিক্ষা নিচ্ছেন সে বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে। তিনি বলেন, আবাইপুরের আশপাশেসহ বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে যাদের পরিক্ষা দুপুর ১টায় কিন্তুু সকাল ১১টায় যারা পরিক্ষা দিয়ে বের হচ্ছে সেই একই প্রশ্ন স্থানীয় অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিকট পৌছে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এলাকার একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন শিক্ষক ফয়জুর রহমান ক্লাস ফাঁকি দেওয়া ও কৌশলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিনব পন্থায় হতবাক হয়েছেন। তাদের দাবি অবিলম্বে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শিক্ষক ফয়জুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান বলেন, তিনি গত দিনেও সকাল ১১টায় পরিক্ষা নিয়েছেন, তেমন অসুবিধা হচ্ছেনা আর সকাল ১১টায় পরিক্ষা হলেও এ প্রশ্ন দুপুর ১টার শিক্ষার্থীগন কিভাবে পাবে বলে মন্তব্য করেন।