রিপোর্ট : ইমাম বিমান
শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু বলেছেন, একসময় প্রতিবন্ধীরা ছিল সমাজের বোঝা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রবর্তনসহ নানুমুখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে অসহায়, অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে এসেছেন। তারাও এখন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি’১৮) ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধীদের সহায়তার চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী আমু আরো বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে রাখতে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পচাত্তরের পনেরই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোটসহ যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশ ও জাতির উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দেয়নি। ক্ষুদ্র চিন্তার মনমানসিকতার ওইসব দল দিয়ে মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব নয়। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে অভিষ্ট লক্ষে পৌছে দেয়ার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার সত্যিকারের স্বাদ পেতে শুরু করেছে। সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধীদের সহায়তার চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রশীদ হাওলাদার, সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন সেখ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাহার মিয়া এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রতিবন্ধী শিশুদের হাতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধীদের সহায়তার চিকিৎসা সহায়তার চেক তুলে দেন। কার্যক্রমের আওতায় ৭৭ জন প্রতিবন্ধীকে মোট ০৭ লাখ ৩০ হাজার ২ শত টাকা প্রদান করা হয়।