জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ সেনাবাহিনীকে দিয়ে বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে সহযোগিতা করবে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পড়ে ছিল এবং আমি নিজ উদ্যোগে একনেক সভায় এটি অনুমোদন করিয়েছি। এটি একটি বড় মেগা প্রকল্প, যা আগে কখনো হয়নি।
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবির কথা তুলে ধরেছে। বিশেষ করে ক্যাম্পাসের কাজ কেন এখনও সম্পন্ন হয়নি এবং জমি অধিগ্রহণের সমস্যা কেন এখনও সমাধান হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, প্রজেক্ট ডিরেক্টরের দুর্নীতির কারণে প্রকল্পে অগ্রগতি হয়নি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত করা উচিত, প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, সেনাবাহিনীকে প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো আপত্তি না থাকলেও, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি চায়, তাহলে তারা সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে চায়, তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করানোর ব্যবস্থা করবো।’
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমীন, প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক, এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে তাদের অনেক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে এবং তারা উপদেষ্টার কথায় আশাবাদী।