গল্প ‘ব্রিলিয়ান্ট ব্রেন’ সমর সেন নামের এক মধ্যবিত্ত বাঙালির। তিনি চান চাকরি-বাকরির বদলে তাঁর আবিষ্কারের স্বপ্নকে নিয়েই জীবনটা কাটাতে। কিন্তু যে হেতু মধ্যবিত্ত বাঙালি আর যে হেতু তার এক বড়লোক প্রেমিকাও আছে, তাই তাঁকে চাকরি করার জন্য বাধ্য করতে থাকে মেয়েটির পরিবার। প্রফেসর শঙ্কুর মতো তাঁর তো পোষ্য বিড়াল আর গিরিডির সূর্যাস্ত সঙ্গী হতে পারে না, তিনি খোদ কলকাতার মধ্যবিত্ত। তাই তাঁকে চাকরির জন্য চাপ দিতে থাকে মেয়েটির বাবা-সহ গোটা সমাজ। কিন্তু তাঁর নিয়তি আলাদা। তাই বাইক উড়িয়ে বহুতলে ঝুলন্ত বাচ্চাকে উদ্ধারই হোক বা অদৃশ্য মুঠোফোন আবিষ্কার বা মানুষের বিকল্প রোবট বানাবার জেদ— তিনি একের পর এক আবিষ্কার দিয়েই নিয়তির চাকা ঘোরাতে থাকেন। ক্লাইম্যাক্সে যন্ত্রই হয়ে ওঠে মূল হিরো, এ ছবির। যন্ত্র যে মানুষের কেবল শত্রু না, বন্ধুও হতে পারে— এ ছবি শেষ পর্যন্ত তা প্রমাণ করে।
অন্যদিকে ‘তুফান’ এর মতো সিনেমা বাংলাদেশে আগে কখনও হয়নি। এটি একটি অ্যাকশন ফিল্ম। একজন গডফাদারের গল্প। পরিচালক রায়হান রাফি বলেন, সুপারস্টারকে নিয়ে গ্যাংস্টার ছবি বানানোর ইচ্ছা ছিল আমার। যেমন- কেজিএফ, পুষ্পার মতো সিনেমা। বাংলাদেশে গ্যাংস্টার সিনেমা বানানোর মতো একজনই আছে, সে শাকিব খান। আর সে কারণেই তাকে নিয়ে এই সিনেমার কাজ করা। এ ছবির লোকেশন লোকেশন ভালো। ভারতেও যাতে সফল হয় সেজন্য মিমি চক্রবর্তী অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশে এরিমধ্যে সুপার ডুপার হিট। গত ঈদেই দেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমা। একটি সাক্ষাৎকারে জিতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শাকিব খানের ‘তুফান’ মুক্তি পাচ্ছে। আপনি কি এটাকে প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখছেন? জবাবে জিৎ বলেন, ‘না, বাজার খোলা আছে, যে কেউ আসতে পারে। ’
এ সময় জিতের পাশে বসে ছিলেন ‘বুমেরাং’ সিনেমার পরিচালক সৌভিক কুণ্ডু। জিতের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকেই বাজার খুলে রেখেছি। ’
পরিচালকের কথা শুনেই হেসে ওঠেন সিনেমার আরও দুই অভিনয়শিল্পী রুক্মিণী মৈত্র ও সৌরভ। ‘তুফান’ নিয়ে আর কিছু না বললেও ঠান্ডা মাথায় যেন শাকিব ও রায়হান রাফীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখলেন এই তারকা।