মো. ফরিদ উদ্দিন, লামা প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলার খাদ্য গুদামে সরকারি মূল্যে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এ চাল সংগ্রহ শুরু হয়। এবার উপজেলার গুদামে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ মেট্রিক টন। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত চাল ক্রয় কার্যক্রম চলবে। এবার উপজেলায় গুদামে চালের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ধান সংগ্রহের কোন লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়নি। অর্থাৎ সরকারি মূল্যে ধান কেনা হবেনা। ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা না দেয়ার কারনে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।গত ২০ জুন পর্যন্ত ৬০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য অধিদপ্তর।
জানাগেছে, চলতি বছর লামা উপজেলার ২টি খাদ্য গুদামে ১০৯ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খাদ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে আজিজনগর খাদ্য গুদামের জন্য ৫৭ মেট্রিক টন সরবরাহকারী হিসেবে চাম্বি অটোরাইস মিল এবং লামা সদরের জন্য ৫২ মেট্রিক টন সরবরাহকারী হিসেবে জনতা অটোরাইস মিলকে অনুমোদন প্রদান করা হয়। সরকার এবার বোরো চাল ক্রয় করছে প্রতি কেজি ৩৭ টাকা হারে। আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি চাল ক্রয় উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলন কান্তি চাকমা, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম, মিলের মালিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলে বলেন, চাল ক্রয়ের শুরু থেকে মিল মালিকরা অতিরিক্ত লাভের দূরাশায় টি আর, জি আর ও কাবিখা প্রকল্পের পুরাতন চাল নিম্ন দরে ক্রয় করে নতুন চালের সাথে সংমিশ্রণ করে খাদ্য গুদামে দেদারছে সরবরাহ করে আসছে। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে এসব নতুন ও পুরাতন সংমিশ্রিত চাল ক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়া চাল ক্রয়ে মিলার নিয়োগে নীতিমালা মানা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তারা বলেন,যাদেরকে মিলার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের কোন চাল উৎপাদন নেই। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বিক্রিত চাল নিম্ন দরে কিনে পুণরায় সরবরাহ করছে গুদামে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিলন কান্তি চাকমা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গুদামে কোন পুরাতন চাল ক্রয় করা হচ্ছেনা। তাছাড়া নীতিমালা মেনেই মিলার নিয়োগ ও চাল ক্রয় করা হচ্ছে।