নিউজ ডেস্ক:
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশটির লাদাখে সীমান্ত লঙ্ঘন করেছিল চীনা বাহিনী। পাঁচদিন পর হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল।
শনিবার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে সংঘর্ষের রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে।
ভারতীয় ও চীনা বাহিনীকে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা গেছে। একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে দেখা গেছে তাদের। সেই সঙ্গে হাতাহাতি এবং মারামারিও চলেছে। সূত্রের খবর, প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকায় চীনা বাহিনীর পথ আটকায় প্রায় দু’ডজন ইন্দো–তিব্বতি সীমান্ত পুলিশ ও তিন ডজন সেনাকর্মী। চীনা বাহিনীও সংখ্যায় সমান ছিল। খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। প্রায় টানা দু’ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। ভারতীয় প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ভিডিওটির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
১৯৬২ সালের পর সম্প্রতি ফের ভারত–চীন দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। ভারত–চীন–ভূটান ত্রিদেশীয় সীমান্তে অবস্থিত ডোকা লা মালভূমি অঞ্চল ঘিরেই ঝামেলার সূত্রপাত। বিতর্কিত মালভূমি অঞ্চলটিকে নিজেদের বলে দাবি করে ভূটান। বেজিংয়েরও একই দাবি। বিতর্কিত ওই মালভূমি অঞ্চলে জুন মাসে মোটর চলাচলের উপযোগী রাস্তা নির্মাণে উদ্যোগী হয় চীনা বাহিনী।
তার তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভূটান। তাদের পাশে দাঁড়ায় ভারত। চীনা বাহিনীকে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয় ভারতীয় সেনা। সেই থেকে সিকিম সীমান্তে ভারত ও চীনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে সেখানে মুখোমুখি তারা। তারমধ্যেই গত ১৫ অগাস্ট, ভারতের স্বাধীনতা দিবসে পশ্চিম হিমালয়ের লাদাখে সীমান্ত লঙ্ঘন করে চীনা বাহিনী। সীমান্ত লঙ্ঘন করে প্যাংগং লেকের তট ধরে ভারতের এলাকায় অনুপ্রবেশ করে তারা। গোলাগুলি না চললেও, সেখানে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে।
বেইজিং অবশ্য শুরু থেকেই সেই দাবি খারিজ করে এসেছে। তাদের বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেন, ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে কোনওরকম সংঘর্ষের কথা তার জানা নেই। সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা নিয়ে তারা নাকি বরাবরই দায়িত্বশীল। এমনকী ভারতকেই সীমান্ত সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে পরামর্শ দেন তিনি।