কোরবানির ৭ দিন পর থেকে পুরান ঢাকার পোস্তায় লবণ দেওয়া চামড়ার বেচাবিক্রি শুরু। এরই মধ্যে লবণ দেওয়া চামড়ার প্রায় ৯০ শতাংশ বিক্রিও শেষ। আর বিক্রি হওয়া এসব চামড়ার ডেলিভারি হয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। হাজারীবাগ থেকে চামড়াশিল্প সাভারে স্থানান্তরিত হওয়ায় লালবাগে এখন আর চামড়া বেচাকেনার চিরচেনা ভিড় নেই। তবে স্বল্প পরিসরে যে বেচাকেনা চলছে সেখানে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। তবে পশুর চামড়ায় এক ধরনের ক্ষতের মতো দাগ থাকায় অনেক ব্যবসায়ীর ১০ থেকে ২০ শতাংশের মতো চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে জানান কেউ কেউ।
একজন চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, মোটামুটি অনেক চামড়াই বিক্রি হয়েছে। মার্কেটে কেমন একটা চামড়া নেই এখন। প্রতিদিনই ডেলিভারি হচ্ছে, যা আছে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এটাও চলে যাবে। তবে চামড়ায় একটা দাগ দেখা যাচ্ছে। এটা থেকে পক্সের মতো হবে। শেষে এ চামড়া আমরা কোনো কাজে লাগাতে পারব না। বলতে গেলে এ জায়গায় আমরা ক্ষতির মুখে আছি। এবার ১ লাখ পিস কাঁচা চামড়া কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এরই মধ্যে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এছাড়া লবণ দেওয়া বাকি ১০ শতাংশ চামড়ার বিক্রি ও ডেলিভারি আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আফতাব খান বলেন, আমাদের যেসব ব্যবসায়ী আছেন, তাদের যে টার্গেট ছিল, তা পূরণ হয়েছে। সে অনুযায়ী লবণজাত করেছে এবং কোরবানির পঞ্চম দিন থেকে তারা বিক্রি শুরু করেছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ চামড়া বিক্রি হয়েছে আর ৫০ শতাংশ চামড়া ডেলিভারি চলে গেছে। এবার ঢাকায় লবণ দেওয়া গরুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম ছিল প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুটের দাম নির্ধারণ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এছাড়া ঢাকায় খাসির চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট নির্ধারণ হয় ২০ থেকে ২৫ টাকা।