ভোগান্তির শিকার গাড়ী চালক ও হেলপার ফেরির সংকটের কারণে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ প্রবল ¯্রােত ও ফেরি সংকটের কারণে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী হাট ফেরি ঘাটে ৮দিন ধরে আটকে আছে মালবাহী ট্রাকসহ শত শত যানবাহান। দুইটি ফেরি দিয়ে এসব গাড়ী পারাপার করতে না পারায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন। এতে ভোগান্তির শিকার গাড়ী চালকরা। দ্রুত এই সম্যসার সমাধানের দাবী তাদের।
জানাগেছে, লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী হাট ফেরি ঘাট হয়ে কনকচাপা ও কিষাণী নামের ২টি ফেরী দিয়ে প্রতিদিনই মালবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ী পার হচ্ছে। এসব গাড়ী যাচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের জেলা ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায়। গত এক সপ্তাহ আগে একটি ফেরি বিকল হয়ে যায়। তাই ২টি ফেরী দিয়ে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ টি গাড়ী যাওয়া আসা করে। যেখানে সময় লাগত মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টা। প্রবল ¯্রােত ও ফেরি সংকটের কারণে সময় লাগে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা। এছাড়া ভোলার ইলিশাঘাট জোয়ারে ডুবে যাওয়ায় ওই ঘাট দিয়ে ফেরী লোড আনলোড করতে সময় লাগে বেশি। সময় বেশি লগার কারণে গত ৮ দিন দীর্ঘ লাইন ধরেছে শত শত গাড়ী। ঘাটে অপেক্ষার সময় থাকা ও খাওয়ার কষ্টের সীমা নেই চালকদের। পান সহ কাঁচা মাল নষ্ট হওয়ার ভয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পার করছে অনেকে।
চালকরা জানান, গত ৬ থেকে ৭ দিন সিরিয়াল দিয়েও এখনো যেতে পারছেনা তারা। কখন যেতে পারবে সেটিরও নিশ্চয়তা নাই তাদের। দ্রুত বিকল হওয়া ফেরিটি মেরামত সহ এই নৌ রুটে দিয়ে আরো দুইটি ফেরি চালু করার দাবী জানান গাড়ী মালিক ও চালকরা।
বি আই ডব্লিউ টিসির মেরিন অফিসার মোঃ সাইদুর রহমান জানান, তিনটি ফেরি স্থলে দুটি দিয়ে সার্ভিস দিতে হচ্ছে। যান্ত্রিত ত্রুটির কারণে একটিকে মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ড পাঠানো হয়েছে। যার কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি ঘাটে গাড়ীর যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া নদীতে প্রবল ¯্রােত ও ইলিশা ঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে ফেরি চলাচলে কিছুটা বিলম্ভ হচ্ছে। আগামী কোরবানের ঈদের আগেই তিনটি ফেরি চালুর আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।