মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ-
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শিশু নুসরাত জাহান নিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী শাহ আলম রুবেল ও তারসহযোগি বোরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে খুলনায় যাওয়ার পথে শাহ আলম রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বোরহান উদ্দিনকে রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে রামগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন।
এ সময় পুলিশ সুপার জানান, ২৩ মার্চ শুক্রবার দুপুরে আইসক্রিম খাওয়া ও টিভি দেখার কথা বলে রুবেল নুসরাত জাহানকে তার বাসায় ডেকে নেয়। এরপর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজ ঘরের স্টীলের আলমীরার ওপর ছট দিয়ে বেধে রাখে দুইদিন।
ঘটনার দুইদিন পর শনিবার রাতে সিএনজি যোগে বস্তাবন্দি করে নুসরাতের লাশ তিনকিলোমিটার দুরে একটি ব্রীজের নিচে ফেলে দেয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রুবেল। এতে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। নিহত নুসরাত জাহান নিশু ঘাতক শাহ আলম রুবেলের ভাতিজি।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোতা মিয়া নেতৃত্বে একদল পুলিশ খুলনায় যাওয়ার পথে শাহ আলম রুবেলকে গ্রেফতার করে। এ সময় নুসরাত জাহান নিশুর লাশ বহনকারী সিএনজি, ব্যাগ, তার ব্যবহৃত জুতা ও শীতল পাটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর গত ২৬ মার্চ আট বছরের শিশু নুসরাত জাহান নিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজ বাড়ি থেকে তিনকিলোমিটার দুরে কাঞ্চনপুরের ব্রাহ্মনপাড়া এলাকায় ব্রীজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে জানা গেছে, নুসরাতকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নুসরাতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ দিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে রামগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানান কর্মসুচি পালন করে আসছে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।