মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ডাকাতির মিথ্যা অপবাধে মো. রিপন হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে এ বর্বর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা কিংবা জড়িত কাউকে আটক করেনি পুলিশ।![](https://nilkontho.net/wp-content/uploads/2018/09/Pic-04-300x246.jpg)
![](https://nilkontho.net/wp-content/uploads/2018/09/Pic-04-300x246.jpg)
চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়া নেতৃত্বে তার ভাই মামুন ও ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন এ নির্যাতন চালায় বলে ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। রিপন উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বদরপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
নির্যাতিতার পরিবার ও ভিডিও সূত্রে জানান, এক মাসপূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়ার লোকজন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে রিপনকে ধরে নিয়ে মারধর করে জাতীয় পরিচয়পত্র রেখে দেয় এবং অন্য মামলার ওয়ারেন্ট দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। সম্প্রতি জামিনে এসে রিপন নিজের পরিচয়পত্র আনতে ওই চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায়। এসময় চেয়ারম্যান, তার ভাই মামুন ও ইউপি সদস্য ফারুক ডাকাতির মিথ্যা অপবাধ দিয়ে রিপনকে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে বেধম মারধর করে। এক পর্যায়ে তার শরীরে পেরেগ ও পিন দিয়ে আঘাত করে।
এসময় স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী নির্যাতনের ঘটনা গোপনে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওতে দেখা যায় মামুন থেমে থেমে রিপনকে লাথি, কিল-ঘুষি মরছে এবং গালমন্দ করছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
নির্যাতিতার স্ত্রী আরজু বেগম ও বোন সাথী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতির মিথ্যা অপবাধ দিয়ে চেয়ারম্যান লোকজন দিয়ে রিপনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আনে। আমরা এ নির্মম নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
চন্ডিপুরের ইউপি চেয়রম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, প্রথমবার রিপন বাড়িতে ডুকে ডাকাতি করে যাওয়ার সময় তাকে ধরে পুলিশে দেই। মামলা করতে চাইলে থানা পুলিশ মামলা নেয় নি। অন্য মামলায় ওয়ারেন্ট দিয়ে তাকে জেলে পাঠায়। গত তিনদিন আগে আবার বাড়িতে ডুকলে লোকজন তাকে আটক করলে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করি। তবে সুপারি গাছের বেঁধে নির্যাতনের বিষয় সঠিক নয় বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়ার জানান, সুপারি গাছের সাথে যুবককে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।