মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ আটক হওয়া মাদক ব্যবসায়ী শেখ হারুনের মুক্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন করে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক মানববন্ধন করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
এদিকে ক্লাস বর্জন করে, বৃষ্টিতে ভিজিয়ে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক মানববন্ধন করে ফেঁসে যাচ্ছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকরা। এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা।
জানা গেছে, গত ২২ মে জেলা শহরের ল’ইয়ার্স কলোনীর ভাড়াবাসা থেকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ শেখ হারুনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করছে শেখ হারুনের সহধর্মীনী শিরিন আক্তার, বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দ।
শেখ হারুন বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন স্থানে শেখ হারুনের মুক্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে ভিজিয়ে, ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আরিফুর রহমান, নার্গিস আক্তার, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবদুল করিম মিয়াজি, অভিভাবক নুরুল ইসলাম, ইমতিয়াজ আহমেদ, রায়হান হোসেনসহ ওই বিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী।
এসময় ইয়াবা ব্যবসায়ী শেখ হারুনের সহধর্মীনী শিরিন আক্তার বক্তব্যে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে নির্দোষ বলেও দাবী করেন তিনি।
অন্যদিকে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দেবনাথ মুঠোফোনে বলেন, আমি মানববন্ধন করতে নিষেধ করেছি। তবুও শিরিন আক্তার জোরপূর্বক আমার বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন করেছে। তাছাড়া আজ আমি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলাম। তবে শেখ হারুনের মুক্তির দাবীতে প্রচারিত পোস্টারে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয়ে তদন্ত করে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানসহ জড়িত অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।