গুম, নির্যাতন, পঙ্গুত্ব বরণের মতো অমানবিক ও বর্বোচিত ঘটনায় জড়িত র্যাব-পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাত ব্যক্তি।
অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. আমানুল্লাহ আল জিহাদী (আদীব) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গুম, নির্যাতন, পঙ্গুত্ব বরণের মতো অমানবিক ও বর্বোচিত ঘটনায় জড়িত র্যাব-পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের কর্মী মো. জনি ইসলাম, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার শিবিরকর্মী মো. আবদুল করিম, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শিবিরের কর্মী মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকার ভাটারা থানা শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মো. নুরুল আমিন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নের তৎকালীন শিবির সভাপতি মো. কামারুজ্জামান। এ ছাড়া শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মো. আলমগীর হোসেন ও নোয়াখালীর মো. দেলোয়ার হোসেন।
তাদের পক্ষে আলাদা আলাদাভাবে অভিযোগগুলো দায়ের করা হয়।
এদের মধ্যে চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গু হয়েছেন বা অঙ্গ হারিয়েছেন। একজন সাড়ে তিন বছর গুম থাকার পর এবং একজন সাড়ে তিন মাস গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন।
কামারুজ্জামান নামের একজন ২০১৭ সালে নিখোঁজ হয়েছেন, এখন পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।