নিউজ ডেস্ক:
রোহিঙ্গা নিধন বন্ধের দাবিতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে প্রবাসী বাঙালিরা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিয়েনায় জাতিসংঘ দফতরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অস্ট্রিয়ায় প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম সওকত আলী, সিরাজ চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইমরুল কায়েস, ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররমের সাবেক সভাপতি আবিদ হোসেন খান তপন, নোয়াখালী-অস্ট্রিয়া সমিতির সভাপতি আকতার হোসেন, জালাবাদ-অস্ট্রিয়া সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গাজী, বাঙালি-অস্ট্রিয়ান হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতা সুসান্ত সাহা, বাংলাদেশ-অস্ট্রিয়া ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি জাফর ইকবাল বাবলু প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মাইনুদ্দিন, নাসরিন জাহান, ফরিদা ইয়াসমিন, লুৎফর নেসা, তাসশিয়া সুমী, শিউলী বেগম, ঝুনু রহমান, বিলাল আহমেদ, আল আমিন, জায়েদ বিন সাহিদ, শাহারিয়ার আজিজ, মামুন হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় সেনাবাহিনী শিশু ও পুরুষদের হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুঠতরাজ চালাচ্ছে। এই নারকীয় বর্বরতা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর কাছে আমরা আহবান জানাচ্ছি।
মিয়ানমার সরকারের কার্যত প্রধান শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের তীব্র ভাষায় বিভিন্ন দেয়া বিভিন্ন গানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। এসময় তাদের হাতে ছিল রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন-গণহত্যার বিভিন্ন ছবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান বন্ধের দাবিতে এবং সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। এই স্মারকলিপির কপি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেয়া হয়।