নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চীন বা ভারত তাদের কী কথা, কী মত সেটা আমার এত বিবেচ্য বিষয় না। কারণ এটা তাদের যার যার দেশের মতামত।
আমাদের দেশে তারা যখন রোহিঙ্গাদের দেখেছেন, তখন তারা প্রত্যেকেই সহানুভূতিশীল, সেটা আমরা দেখেছি। ভারত চীন সকলেই এগিয়ে এসেছে। তারা রিলিফ পাঠাচ্ছে। সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে শুক্রবার নিউ ই্য়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন,এ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরা ও এর সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা নিশ্চিত করা ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, দুঃসময়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোয় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেছেন, সমস্যা সমাধানে যা যা করণীয় তার পক্ষ থেকে সব করা হবে। মিয়ানমারে সংকটের অবসান না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সহায়তার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, দরকার হলে আমরা একবেলা খাব, আরেকবেলার খাবার আমরা ভাগ করে নেব।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করা হবে কি না- এক সাংবাদিক এ প্রশ্ন তুললে প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগের পাশাপাশি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর সমবেদনা জানাতে গেলে খালেদা জিয়ার তাকে ফটকের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এরপর আর কেউ কখনও এ বিষয়টা আমার কাছে তুলবেন না। বিএনপির মতো একটি সন্ত্রাসী দল, জঙ্গিবাদী দল-তাদের সাথে বসতে হবে। তাদের সাথে বসে সমাধান করতে হবে-এই কথাটা আর কেউ বলবেন না, যেটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।