নিউজ ডেস্ক:
যত সময় এগোচ্ছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুরহস্যে ‘স্বজনপোষণ’-এর পাশাপাশি অভিযোগের আঙুল দৃঢ় হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই পালাবদল স্পষ্ট করে ধরা পড়েছে সম্প্রতি সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ পটনায় রিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্য-সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পরই।
এ বার রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তিরকে আরও তীক্ষ্ণ করল একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের স্টিং অপারেশন। সেখানে চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে কথা বলেছেন সুশান্তের ফিটনেস ট্রেনার সমীর আহমেদের সঙ্গে।
গত পাঁচ বছর সমীরের তত্ত্বাবধানে শরীরচর্চা করেছেন সুশান্ত। পেশাদার সম্পর্কের বাইরে তিনি সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন বলে জানান সমীর। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, সুশান্ত কী ওষুধ খাবেন, সেটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতেন রিয়া।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রিয়া তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, সুশান্ত অবসাদের শিকার ছিলেন এবং দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদের ওষুধ খাচ্ছিলেন। কিন্তু সত্যিই কি পর্দার এম এস ধোনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন? এ প্রশ্ন এ বার উঠে আসছে ট্রেনার সমীরের বক্তব্যেও।
স্টিং অপারেশনে তিনি দাবি করেছেন, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়েছিল গত ১ জুন। তার আগে ২৯ মে নিজের মাকে হারিয়েছিলেন সমীর। সে কথা জানতে পেরে নিজেই তাঁকে ফোন করেছিলেন সুশান্ত।
ফোনে কথা বলার সময় সুশান্ত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিলেন বলে দাবি সমীরের। যে কোনও প্রয়োজনে সমীর আসতে পারেন তাঁর কাছে, এমন আশ্বাসও নাকি এসেছিল বড় পর্দার সত্যান্বেষীর কাছ থেকে। সেই ‘স্বাভাবিক’ সুশান্ত কী ভাবে নিজেকে শেষ করে দিতে পারেন মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে? হিসেব মেলাতে পারছেন না সমীর। পারছেন না অনেকেই। এখনও অবিশ্বাসের ঘোর কাটছে না সুশান্তের পরিজনদের।