নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় জোরপূর্বক রাস্তা বানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের নারীসহ ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ হুলিয়ামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চুয়ডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী গ্রামের গোলাপনগর পাড়ার মৃত বিশু বিশ্বাসের ছেলে, তিতুদহ ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খবির উদ্দীন বিশ্বাস (৭২), তাঁর তিন ছেলে আকিদুল ইসলাম (৫০), হফিজুর ইসলাম (৪৭) ও মিজানুর রহমান (৪০) এবং হাফিজুরের স্ত্রী রিনা খাতুন (৩২) ও আকিদুল ইসলামের মেয়ে মুসলিমা (২২)। এ সময় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবির উদ্দীন বিশ্বাস, আকিদুল ইসলাম ও হফিজুর ইসলামের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন এবং অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।চুয়াডাঙ্গায় জোরপূর্বক রাস্তা বানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের নারীসহ ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ হুলিয়ামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চুয়ডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী গ্রামের গোলাপনগর পাড়ার মৃত বিশু বিশ্বাসের ছেলে, তিতুদহ ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খবির উদ্দীন বিশ্বাস (৭২), তাঁর তিন ছেলে আকিদুল ইসলাম (৫০), হফিজুর ইসলাম (৪৭) ও মিজানুর রহমান (৪০) এবং হাফিজুরের স্ত্রী রিনা খাতুন (৩২) ও আকিদুল ইসলামের মেয়ে মুসলিমা (২২)। এ সময় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবির উদ্দীন বিশ্বাস, আকিদুল ইসলাম ও হফিজুর ইসলামের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন এবং অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। জানা যায়, নিজ বাড়ি থেকে এলাকার পাকা রাস্তায় পৌঁছানোর জন্য কোনো পথ না থাকায় প্রতিবেশী নূরুর পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ খবির উদ্দীন বিশ্বাসের জমির ওপর দিয়ে চলাচল করে আসছিলেন। চলাচলের ওই পথকে স্থায়ী রাস্তা বানানোর জন্য গতকাল ট্রাক্টরে করে মাটি এনে রাস্তা বানাতে শুরু করেন নূরুর পরিবারের সদস্যরা। এতে জমির মালিক খবির উদ্দীনের তিন ছেলে বাধা দিলে প্রতিবেশী নূরু ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা খবির উদ্দীনের তিন ছেলে আকিদুল ইসলাম, হফিজুর ইসলাম এবং মিজানুর রহমানকে বাঁশ-কোদাল দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় খবির উদ্দীন, হাফিজুরের স্ত্রী রিনা খাতুন ও আকিদুলের মেয়ে মুসলিমা ঠোকাতে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পরিবারের অন্য সদস্যরা আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেন। এ ঘটনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে খবির উদ্দীন বিশ্বাসের ছোট ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘নূর ইসলামদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোনো পথ না থাকায় এত দিন তারা আমাদের জমির ওপর দিয়ে চলাচল করে আসছিল। আমরা জমির এক পাশ দিয়ে রাস্তাও দিতে চেয়েছি, কিন্তু তারা জোর করেই আমাদের জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা নিতে চায়। আজ (গতকাল) হঠাৎ করেই ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে এনে জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা বানাতে শুরু করে তারা। আমরা তাঁর প্রতিবাদ করলে নূরু, তার তিন ভাই-ভাতিজারাসহ ১২ জন মিলে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। কোদা, লাঠি, ছুরি দিয়ে আমার পিতা ও দুই ভাইকে গুরুত্বর জখম করে। এ সময় আমার ভাবি রিনা ও আরেক ভাই আকিদুলের মেয়ে মুসলিমা ঠেকাতে এলে তারাও আহত হয়।’এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র সার্জরি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় জানান, মারামারির ঘটনায় মোট ৬ জনকে আহত পেয়েছি। এদের মধ্যে তিনজনের মাথায় ও শরীরের বিভন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম হয়েছে। তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে এবং অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে হুলিয়ামারি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৈনুদ্দীন জানান, খবির উদ্দীন বিশ্বাসের জমির মধ্যখান দিয়ে তাঁরই প্রতিবেশী নূর ইসলামের পরিবারের সদস্যরা চলাচল করে। এ পথ নিয়েই দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী গ্রামে রাস্তার জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হওয়ার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার তথ্য অনুযায়ী আটক ব্যক্তিরা হলেন হুলিয়ামারী গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে আসাদ বিশ্বাস (৩০), সাইদুর রহমানের ছেলে ইমরান (১৯) ও পিন্টু রহমানের ছেলে রানা মিয়া।