বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি; রাবি:
গত ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা রাবি প্রশাসনকে পোষ্যকোটা বাতিল বিষয়ক উন্মুক্ত ডিবেটের আহ্বান জানালেও পাওয়া যায়নি প্রশাসনের কাউকে। পরে পোষ্যকোটার প্রতিকি কবর দেওয়া হয়।
৯ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তমঞ্ছে এই সংসদ মনে করে পোষ্য কোটা থাকা যৌক্তিক না”এই বিতর্ক অনুষ্ঠান হয় এবং সন্ধ্যা ৬ টায় কবর দেওয়া হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এবং আন্দোলন শেষে পোষ্যকোটাধারি শিক্ষক ও তাদের সন্তানদের পোষ্যকোটার পক্ষে যুক্তি দেখানোর জন্য উন্মুক্ত ডিবেটের আহ্বান জানান। ঘোষণা অনুযায়ী উন্মুক্ত ডিবেটের আয়জন করা হলোও পোষ্য কোটার পক্ষে যুক্তি দেখানোর জন্য পাওয়া যায়নি কাউকে।
পক্ষে ডিবেট কারার জন্য কাউকে পাওয়া না গেলে বিপক্ষ তথা কোটার বিরোধী দলকে জয়ি ঘোষনা করা হয় এ ডিবেটের বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী এলাকার রিকশাচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটারস ও একজন ব্যাবসায়ি।
বিতর্ক অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটারস বলেন, আজকের পরিবেশ থেকে আবু সাঈদ মুগ্ধ রক্তের গন্ধ বের হলো এ গন্ধ পাচ্ছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনেরা। এ রক্তের উপর দাঁড়িয়ে তারা স্বপ্ন দেখছে কিভাবে নিজের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়াবেন। কোটার কারণে যদি স্বৈরাচারকে সরাতে পারি তাহলে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দের কেও সরাতে পারবো।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে জুলাই বিপ্লব হয়েছে।শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমরা ফ্যাসিস্ট তাদের বলতে চাই যারা বৈষম্য করে। কোটা প্রতিবন্ধী,ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা পেতে পারে কিন্তু শিক্ষকেরা কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া।”
বিতর্কের রিকশাওয়ালা বিচারক বলেন, “আমার তো কোন কোটার দরকার নাই,শিক্ষকদের কেন দরকার হয়।” এক ব্যবসায়ী বলেন, “শিক্ষকের সন্তানেরা কম পড়েই চান্স পেয়ে যায়, আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বেশি পড়লেও তারা সুযোগ পায় না।
বিতর্ক শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের পাশে। পোষ্যকোটার প্রতিকি জানাজা করে এবং তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে কবর দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।